শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত চট্টগ্রামে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৩ ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু: ওবায়দুল কাদের বিষয় ছাড়া কীভাবে ডায়ালগ হবে? প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূসের প্রশ্ন সব ধরনের সবজির বাজার উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল পাউবো’র ৮টি জোনের মধ্যে প্রথম স্থানে ফরিদপুর মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এগিয়ে আজ ফুটবলার রাউল গঞ্জালেজের জন্মদিন ‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, দায় সরকারের না’ ৪০ লাখ ডলার জেতার আনন্দে হার্ট অ্যাটাক করলেন তিনি নতুন শিক্ষাক্রমে গ্রামের অভিভাবক খুশি, আপত্তি শহুরে বাবা-মায়ের আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনল ইসরায়েল ডিএনসিসির অভিযানে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ১০ বিঘা ভূমি উদ্ধার আমের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী তিন সেতু থেকে টোল আদায় ১৪৭২ কোটি টাকা ফল ও সবজির রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান ব্যবসায়ীরা এবি ব্যাংকের মোংলা সমুদ্রবন্দর উপশাখার উদ্বোধন শুক্রবার ভোট, কে হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার

বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায় অ্যামাজন-বোয়িংয়ের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বাজারে কোক, অ্যামাজন, বোয়িং, শেভরন ও টেলকোসহ বড় বড় ইউএস কোম্পানি ব্যবসা করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, অ্যামাজন সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম৷ আমরা সেন্টার ওয়্যারিং হাউস তৈরি করব। তারা সেখান থেকে পণ্যগুলো সংগ্রহ করবে৷ এরপর তারা সেগুলো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বিক্রি করবে।

তিনি বলেন, যেসব ইউএস কোম্পানি বাংলাদেশে অপারেট করে, তারা যেন সহজে ব্যবসা করতে পারে, সেসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ব্যবসায় যাতে কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, নতুন নতুন আমেরিকান কোম্পানি যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী… যেমন আজকে অ্যামাজন আসছিল। তারা কীভাবে বাংলাদেশের পণ্য এখানে যুক্ত করতে পারে, কীভাবে বাংলাদেশের মার্কেট এই গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে যুক্ত হতে পারে, এই সুযোগ-সুবিধাগুলো আমাদের এখানে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ৯০ শতাংশ ব্যবসা গার্মেন্টসে৷ এখানে কিন্তু গার্মেন্টসের কেউ ছিল না। তারা মূলত এ দেশের ই-কমার্স ইনফ্রাসট্রাকচার, ই-কমার্স বিজনেস থেকে শুরু করে এ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেছে। এখানে শেভরনের প্রতিনিধি ছিল।

টেলকোর প্রতিনিধিরা ছিল। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাস্টার কার্ড ও ভিসা কার্ডের প্রতিনিধিরা ছিল। এখানে স্টার্ট-আপ পর্যায় থেকে আরম্ভ করে একেবারে বোয়িং পর্যন্ত তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। মূলত এখানে তিনটি জিনিস কাজ করবে সেগুলো হলো— বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন মার্কেট অ্যাকসেস নিয়ে কাজ করছে। এই মার্কেট অ্যাকসেসটা ইজিয়ার হবে যদি স্মার্ট বাংলাদেশ ফর স্ট্রাটেজিক গ্রোথের সাজেশনগুলো যদি অ্যাডাপ্ট করতে পারি।

আহসানুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয়ত, ইউএসএর যে ইনভেস্টমেন্ট, সেটি আরও সহজে কীভাবে বাংলাদেশে আসবে। সে বিজনেসটা যেন ইনোভেশনের মধ্যে থাকে এবং আমাদের মূল টার্গেট এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশনে হেল্প করে। আর সবশেষে বাংলাদেশ এবং ইউএসএর মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালীকরণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কটন নিয়ে কথা বলেছি। আমরা ইউএস কটনের বড় আমদানিকারী দেশ। সেই ইউএস কটন থেকে তৈরি করা পণ্য কীভাবে মার্কেট অ্যাকসেস পেতে পারে, সেজন্য তারা কাজ করবে। 

বাংলাদেশ এমন কোনও পলিসি করবে কি না, যার মাধ্যমে দেশের বাইরে ট্রানজেকশন করা যায়? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমরা সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজের মাধ্যমে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে যুক্ত হব।

তিনি বলেন, আমাদের নেগেটিভ কোনও আলোচনা হয়নি, সব পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। আমরা একক কোনো কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রমোশনের জন্য এখানে বসিনি। তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এসেছে। তারা (ইউএসএর প্রতিষ্ঠানগুলো) আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চায়।

তারা তাদের কোনও ব্যবসায়িক লাভ নিয়ে আলোচনা করেনি। বরং তারা আমাদের আর্থসামাজিক ব্যবসায়িক পরিবেশ কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা করেছে। একইসঙ্গে আমাদের দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ কীভাবে ভালো করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

কিছু কিছু মার্কিন কোম্পানি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে তাদের বিনিয়োগ উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময়ে সোশ্যাল বিজনেস গুরুত্বপূর্ণ না কি যারা বড় বিনিয়োগ থেকে মুখ ফেরাচ্ছে তাদের ফেরানো গুরুত্বপূর্ণ? এ প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ… দেশের মার্কেট যেখানে অ্যাকসেস পাবে এবং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেট যারা আগ্রহ নিয়ে আমাদের দেশে আসবে।

যেমন— ফেসবুক, অ্যামাজন, শ্যাভরন, কোক ও বোয়িং। তারা যদি বাংলাদেশের বিজনেস ভ্যালু অ্যাডিশনের সাথে যুক্ত হয়, তাহলে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ, সেটি সহজ হবে। 

তিনি বলেন, আমরা ২৪ থেকে ২৬ সালের মধ্য এলডিসি থেকে ডেভেলপিং কান্ট্রিতে উন্নীত হবে। এই দুই বছরের মধ্য বিভিন্ন দেশের মার্কেটে অ্যাকসেস পেতে চাই৷ এক্ষেত্রে ইউএস বাংলার যে বিজনেস কাউন্সিল, যে মার্কেট অ্যাকসেস… কর্পোরেট কাউন্সিলের সাথে সংযুক্ত করার জন্য তারা আমাদের দেশে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের বড় কোম্পানি যখন কোনও চেম্বারের মাধ্যমে আসে, বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যৎ দেখেই আসে। আমরা চেষ্টা করব কীভাবে আমাদের পলিসি দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে পারি। বাংলাদেশ কোনও ছোট মার্কেটপ্লেস নয়।

এটা ৩৩০ মিলিয়ন মানুষের মার্কেট৷ সুতরাং তারা বড় একটি জনসমুদ্র দেখেই এসেছে। এ দেশে আগামী পাঁচ বছর একটা স্থিতিশীল সরকার থাকবে এবং আগামী পাঁচ বছর তারা উন্নয়নে কাজ করবে, সেই মানসিকতা নিয়েই তারা এখানে এসেছে। তাদের আসার মাধ্যমে আমাদের নতুন বাজার সম্প্রসারণ এবং নতুন কোম্পানি এ দেশে আসার পথ উন্মুক্ত হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com