বাংলাদেশের নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমানবিক রিয়াক্টর বা চুল্লির আভ্যন্তরীন যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে পাঠিয়েছে জেএসসি “এইএম- টেকনোলোজির” ভল্গোদনস্ক শাখা (রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা–এটোমএনার্গোম্যাস)
আভ্যন্তরীন যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে ১১ মিটার কোর ব্যারেল, কোর বাফেল এবং প্রোটেক্টিভ টিউব ইউনিট। এই আভ্যন্তরীন যন্ত্রাংশের মোট ওজন প্রায় ২১০ টনের অধিক।
এইএম- টেকনোলোজির” ভল্গোদনস্ক শাখা থেকে এটিকে সড়কপথে নভরোসিস্ক বন্দরে নেয়া হয়, এবং সেখান থেকে এটিকে জলপথে বাংলাদেশের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেয়া হবে। এই জলপথটি হবে প্রায় ১৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
রিয়াক্টরটি একটি লম্বা সিলিন্ডার আকৃতির এবং উপবৃত্তাকার তলবিশিষ্ট পাত্র যার, যা ভিতরে কোর ও অন্যান্য আভ্যন্তরীন যন্ত্রাংশ থাকে। এর উপরের অংশটি একটি ঢাকনা দ্বারা দৃঢ়ভাবে আটকানো থাকে এবং এর সঙ্গে ড্রাইভ মেকানিজম, রিয়াক্টর এর নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা এবং নজেলের মাধ্যমে রিয়াক্টরের নিয়ন্ত্রন সেন্সরের তারগুলোকে বাইরে নেয়ার ব্যবস্থা থাকে। রিয়াক্টর কাভারটি ভেসেলের গায়ে স্টাডের সাহায্যে আটকানো থাকে। চুল্লি পাত্রের ওপরের অংশে নজেল থাকে যার মাধ্যমে ক্যুলান্ট সরবরাহ ও সরিয়ে নেয়া হয়, এছাড়াও জরুরি মূহূর্তে, যেমন যখন সার্কিট ডিপ্রেসারাইজড থাকে, সেই সময়ে কুল্যান্ট সরবরাহের জন্যে নজেল থাকে।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ান নকশা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে। এর নকশা ও নির্মাণ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২টি ইউনিটে ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর ব্যাবহার করা হবে যার উৎপাদন কাল ৬০ বছর যা পরবর্তীতে আরও ২০ বছর বর্ধিত করা সম্ভব।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস