গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে মার্কিন কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা পতনে বাংলাদেশের ‘জেন-জি বিপ্লব’ -এর প্রভাব স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসে একটি কংগ্রেসনাল ঘোষণা গ্রহণের জন্য তিনি আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সোটোর মার্কিন কংগ্রেসনাল অফিসে এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সোটো জুলাই অভ্যুত্থানে যারা সরকার পতনে এবং হাসিনাকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সেই ৫ আগস্ট বিপ্লবের ছাত্র নেতাদের মার্কিন কংগ্রেসে একটি কংগ্রেসনাল ঘোষণা গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। যা বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের প্রতীক।
বাংলাদেশি আমেরিকানরা শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটোর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসনম্যান ড্যারেন সোটো গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে দাঁড়িয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় এ কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকালীন সময়ের হালনাগাদ তথ্য দেয়ার জন্য মার্কিন-বাংলাদেশি জাহিদ এফ সরদার সাদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছেন বলে ১৪ ফেব্রুয়ারি এক বার্তায় জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা। জনপ্রিয় এ কংগ্রেস সদস্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, জনগণকে ভোট দিতে দিন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিশেষ করে, ফ্লোরিডায় বসবাসরতরা ড্যারেন সোটোকে বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবেই সমীহ করে থাকেন।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ড্যারেন সোটো বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দীর্ঘদিন ধরে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত জাতীয় নির্বাচন স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য চেয়ে সোটো একটি ভিডিও বার্তাও দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তার সহকর্মীদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টেকে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন সোটো। এছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রেক্ষাপট নিয়ে ১১৫তম মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত বিলের পক্ষে ছয় কংগ্রেসম্যানের সঙ্গেও যুক্ত হন সোটো।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন