বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশে ৮ই মার্চ থেকে ৮ই এপ্রিল- এই এক মাসে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে উদ্বেগজনক হারে। ৮ই মার্চ শনাক্ত হয়েছিল মাত্র এক জন। এক মাসে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৮ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২০ জন। বেসরকারি হিসেবে আরো অনেক বেশি। ঢাকার একটি সংবাদপত্র এই ক’দিনে সর্দি-জ্বর, কাশি ও গলা ব্যাথা নিয়ে ৭১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইতালির মত দেশে প্রথম ৩০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বাংলাদেশে এ সংখ্যা বেশি। মৃত্যুহার ৯.১৭ শতাংশ। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। মারা যাবার দিক দিয়ে ইতালির পরেই বাংলাদেশের স্থান। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। টেস্টিং হচ্ছে ১৬টি ল্যাবে। প্রথম ২০ দিনে মাত্র একটি ল্যাবে পরীক্ষা হতো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, টেস্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একদম পিছিয়ে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত টেস্টের শতকরা হার প্রতি লাখে ২.২৩ ভাগ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এপ্রিল মাসটা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন এপ্রিল মাসটা নিয়ে চিন্তায় আছি।
লকডাউনের আওতায় সারাদেশ থাকলেও নতুন করে কয়েকটি শহরে লকডাউন করা হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, গাজিপুর, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরগুলো থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। প্রবেশও করা যাচ্ছে না। ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় উদ্বেগের মাত্রা বেড়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৪১ জন আক্রান্তের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার। একারণে শতাধিক বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উড়িয়ে দেয়া হয়েছে লাল পতাকা। কাউকে বের হতে দিচ্ছে না পুলিশ। কোন কোন স্থানে স্থানীয়রা লকডাউন করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় N-95 মাস্ক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রি চেয়ে আন্তর্জাতিক পার্টনারদের কাছে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছে। জাতিসংঘের একটি সিচুয়েশন রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিমাসে এখন জরুরি ভিত্তিতে ১২ লাখ পিপিই সেট দরকার। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৪ হাজার পিপিই সেট বিলি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সরকারি হাসপাতালে।
ওদিকে সিঙ্গাপুরে একদিনে ৪৭ জন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: ভোয়া