শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত কি কৌশল বদলিয়েছে: বিবিসির প্রতিবেদন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: দু’হাজার তেরো সালের ডিসেম্বর মাস। ঢাকায় এক সফরে এলেন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং।তিনি দেখা করলেন জাতীয় পার্টির নেতা এইচ এম এরশাদের সাথে, বলা হয় – তিনি তাকে অনুরোধ করেছিলেন পরের বছর ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য।এই সফর তখন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

কারণ তার আগে জেনারেল এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় এবং বাংলাদেশে এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় – যার ফলে সংশয় দেখা দেয় ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে নিয়ে।

নির্বাচনের অংশ নেবার জন্য সুজাতা সিং এরশাদকে অনুরোধ করলেও তিনি তখন রাজি ছিলেন না। তবে সরকারের চাপে পড়ে এরশাদ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

সেই নির্বাচনের এক মাস আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরকে তখন অনেকেই বিবেচনা করেছিলেন বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর ভারতের প্রকাশ্য হস্তক্ষেপের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে ।

তবে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে সেই ভারতই এবার খুব একটা মনোযোগ দিচ্ছে না বলে দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের পর্যবেক্ষকরা বলছেন।

ভারত ও বাংলাদেশের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী: মনমোহন সিং ও খালেদা জিয়া
 ভারত ও বাংলাদেশের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী: মনমোহন সিং ও খালেদা জিয়া।

২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারত প্রকাশ্যে যেভাবে পক্ষ নিয়েছিল সেটি এবার দেখা যাচ্ছে না।যদিও এবারের নির্বাচনে এরই মধ্যে সবগুলো রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতিও বদলেছে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের নিস্পৃহ ভাব দেখানোর বিষয়টি হয়তো তাদের কৌশলে কোন পরিবর্তন হতে পারে।

এবারের নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সবকিছু পাল্টে দিয়েছে
এবারের নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সবকিছু পাল্টে দিয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো প্রকাশ্যে সমর্থন দেখানোর চাইতে আড়ালে কলকাঠি পরিচালনা করাটাই ভারতের জন্য ভালো হতে পারে। এমটাই বলছেন বাংলাদেশে কেউ-কেউ।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত উদাসীন থাকবে, এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতির অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম।

অধ্যাপক মাসুম বলেন, “আমি মনে করি বিজেপি সরকার দৃশ্যত নিঃস্পৃহ ভাব দেখালেও তারা ভেতরে-ভেতরে ভারতমুখি একটি সরকার চাইবে। সেক্ষেত্রে তারা তাদের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে দেখতে চাইবে এটা খুবই স্বাভাবিক।”

শুধু ২০১৪ সালের নির্বাচন নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনেও ভারতের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, ২০০১ সালে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির প্রতিজ্ঞা করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল।

তবে বিশ্লেষকদের অনেকই মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা থাকুক কিংবা না থাকুক – তার চেয়েও বড় কথা হলো: বিএনপি তার দলের স্বার্থেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দিল্লির সাউথ ব্লক : ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনীতির কেন্দ্র
দিল্লির সাউথ ব্লক : ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনীতির কেন্দ্র।

কারণ, ২০১৪ সালে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির যে মূল দাবি ছিল, সে দাবি তারা এবারো তুলেছিল। কিন্তু সেটি পূরণ না হলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে একই সাথে গত বেশ কয়েক বছর ধরে দলটি ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টাও করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, ভারতের আগ্রহের চাইতে বরং বেশি কাজ করেছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণ।

মি: আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে কোন সরকার ক্ষমতায় থাকবে সেক্ষেত্রে ভারতের ইচ্ছার প্রতিফলনই যে সব সময় হবে তা নয়।তিনি বলেন, অতীতে বাংলাদেশে এমন অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে – যাদের ভারত চায়নি।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: বিবিসি বাংলা/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com