বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) তৎপরতা বাংলাদেশেও আছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ও ন্যাটোর কমান্ডার জেনারেল জন ডব্লিউ নিকোলসন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমির (ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি একাডেমি) শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান কমব্যাটিং টেররিজম সেন্টারকে (সিটিসি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন এই কমান্ডার এ কথা বলেন। গত বুধবার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়।
একিউআইএসের আঞ্চলিক তৎপরতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল নিকোলসন বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। আর এ অবস্থায় বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশে একিউআইএসের প্রচুর তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছি।’
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে কান্দাহারের শোরাবাক জেলায় পরিচালিত একটি অভিযানের কথা উল্লেখ করে মার্কিন কমান্ডার বলেন, সেখানে এক জঙ্গি ঘাঁটিতে একিউআইএস এবং তালেবান জঙ্গিরা একসঙ্গে কাজ করছে বলে প্রমাণ পান তাঁরা।
ওই অভিযানের সময়ই একিউআইএস নেতৃত্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টি তাঁদের কাছে ধরা পড়ে। ওই ডেরায় অভিযানের পর তাঁরা বাংলাদেশে একিউআইএসের অনুসারীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিনন্দনসূচক নানা নোট পান।
জেনারেল নিকোলসন বলেন, মূল আল-কায়েদার সঙ্গে একিউআইএসের যোগাযোগ রয়েছে। মূল আল-কায়েদার এখন মূলত শীর্ষ নেতাদের টিকে থাকার বিষয়ের ওপর নজর দিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে একিউআইএসের সম্পর্কও অটুট আছে। তাদের উভয়ের এজেন্ডা ও লক্ষ্য একই।
নিকোলসনের এই বক্তব্যের বিষয়ে ঢাকায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, একিউআইএসের বাংলাদেশে তৎপরতার এই খবরটি তাঁরা যাচাই করে দেখবেন।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এর পরপরই বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম (সাবেক নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) একিউআইএসের অধিভুক্ত হয় বলে তখন ঢাকায় জঙ্গিবাদ দমনে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন।
আনসার আল ইসলামও তাদের টুইটার পেজে নিজেদের একিউআইএসের বাংলাদেশ শাখা দাবি করে। আনসারুল্লাহ বা আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩টি হামলার ঘটনা স্বীকার করেছে। এসব ঘটনায় নিহত হন ১১ জন। যাঁদের বেশির ভাগই ব্লগার। এর বাইরে রয়েছেন প্রকাশক, শিক্ষক ও সমকামীদের অধিকারকর্মী।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস