শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে আপত্তি আসামে, বিল নিয়ে ভারতীয় পার্লামেন্টে ঝড়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১৮
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে
ভারতের আসামের এনজিও, পরিবাজন বিরোধী মঞ্চের দাবি, এই ঘরগুলো অবৈধ বাংলাদেশিদের।

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে বিলটি এনেছে তা আসামে প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়েছে।

ভারতীয় পার্লামেন্টের একটি যৌথ কমিটি এ ব্যাপারে আসামবাসীর মতামত শুনতে সম্প্রতি সে রাজ্যে গিয়েছিল, কিন্তু আসামের বিভিন্ন সংগঠন সেখানে বিলটির বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

আসামের বিভিন্ন দলও বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা মনে করে বিজেপি যা-ই বলুক, বিদেশিরা বিদেশিই – তাদের হিন্দু-মুসলিম এই বিভাজনে আলাদা করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।

আসামে এই তীব্র প্রতিবাদের মুখে মোদী সরকারের আনা বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

শুধু মুসলিমরা নন – বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া চলবে না- এই দাবিতে আসামের বিস্তীর্ণ অংশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে রয়েছে গত বেশ কিছুদিন ধরেই।

যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটির সাম্প্রতিক আসাম সফরের সময় এই দাবিতে তাদের কাছে ধর্না দিয়েছে বহু অসমিয়া সংগঠন ও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।

 

অসম গণ পরিষদ বা অগপ-র সিনিয়র নেতা উৎপল দত্ত বিবিসিকে বলছিলেন, “আমার কেন্দ্র লখিমপুর থেকেই যেমন শতাধিক সংগঠন স্মারকলিপি পাঠিয়েছে কমিটির কাছে। তাদের বক্তব্য খুব সহজ, ১৯৭১ সালের পর যারা এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া চলবে না, সে তারা হিন্দুই হোক বা মুসলিম। হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে সমস্যা হবে।”

আসামে মুসলিমদের দল বলে পরিচিত এআইডিইউএফ-ও বলছে, পঁচাশি সালের আসাম চুক্তিতে যে তারিখটা নিয়ে ঐকমত্য হয়েছিল আজ সেটা হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার নামে লঙ্ঘন করা হলে খুব অন্যায় হবে।

দলের কার্যকরী সভাপতি ড: আদিত্য লাংথাসার কথায়, “১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ হল কাট-অফ ডেট, এটা নিয়ে রাজ্যের সব দল-গোষ্ঠী-সংগঠনই তো একমত হয়েছিল। আজ যদি একাত্তরের পরে আসা হিন্দুদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, প্রতিবাদ তো হবেই। বিদেশিরা সব সময়ই বিদেশি – হিন্দু হোক বা মুসলিম, তাদের কাউকেই নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না।”

কিন্তু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অসমিয়াদের ভয়টা ঠিক কোথায়? অগপ বিধায়ক উৎপল দত্ত বলছিলেন, বাংলাভাষী হিন্দুদের জন্য এভাবে দরজা খুলে দিলে একদিন ত্রিপুরার মতো আসামেও বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যেতে পারেন।

তার যুক্তি, “বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা যে-দিক দিয়েই আসুন না কেন, শেষ পর্যন্ত তারা সেই আসামে এসেই থিতু হন। কাজেই আমাদের ভয়, এভাবে চললে আর তাদের নাগরিকত্ব দিলে একদিন আমরা নিজভূমিতেই সংখ্যালঘু হয়ে যাব।”

অগপ-র মতোই রাজ্যে বিজেপির আরেক শরিক দল বোড়ো পিপলস ফ্রন্ট। তাদের নেত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম অবশ্য বিবিসিকে বলছিলেন, এই প্রশ্নে তারা বিজেপির অবস্থানকেই সমর্থন করছেন।

“আমরা যেহেতু সরকারে আছি, তাই এখানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যই আমাদের বক্তব্য। আমাদের দল এ ব্যাপারে আলাদা কোনও বিবৃতি দিচ্ছে না, বিজেপির বক্তব্যকেই সমর্থন করছে,” বলছিলেন তিনি।

আসামের মতামত শুনতে যে সংসদীয় কমিটি সে রাজ্যে গিয়েছিল, তার অন্যতম সদস্য মহম্মদ সেলিম আবার বলছিলেন, তারা রাজ্যের এক এক প্রান্তে এক এক রকম বক্তব্য পেয়েছেন – আর তার সবটাতেই ছিল বিভাজনের বীজ।

“বরাক উপত্যকায় যেখানে বাঙালিরা সংখ্যায় বেশি, সেখানে যা শুনেছি – আর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় যেখানে অহমিয়ারা বেশি, সেই দুই জায়গায় সম্পূর্ণ উল্টো মতামত শুনেছি আমরা।”

“কেউ বলছে নাগরিকত্ব নতুন করে দেওয়া যাবে না, দিলেও আসামে কেন? কেউ আবার বলছে নাগরিকত্বকে হিন্দু-মুসলিমের নামে ভাগ করা হচ্ছে কেন? একটা অংশ আবার বলছে যত বাঙালি আছে সবাইকে দেওয়া হোক – আবার অন্য একটা অংশের মত শুধু হিন্দু বাঙালিদের দিলেই চলবে। কাজেই আসাম এখন বহু মতে ভাগ হয়ে গিয়েছে!” বলছিলেন মি সেলিম।

আসামে জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাতের ইতিহাস খুবই পুরনো – তার মাঝে বিজেপি সরকারের আনা এই বিতর্কিত বিল যে নতুন করে হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে সে ইঙ্গিত স্পষ্ট।

আসামের ক্ষোভকে প্রশমিত না-করে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে এই বিল নিয়ে এগোনো যে বেশ কঠিন হবে, পর্যবেক্ষকরাও সে কথা মানছেন।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বসাংলা/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com