বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে তার কার্যালয়ে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ শীর্ষক এ প্রকল্পের উপস্থাপনা দেখানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা তুলে ধরেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার। প্রধানমন্ত্রী উপস্থাপনা দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম।
প্রেস সচিব জানান, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু প্রথম নদীভাঙা ও বাস্তুহারাদের পুনর্বাসনের জন্য মিরপুরের ভাসানটেকে প্রকল্প নিয়েছিলেন। এরপর জাতীয় গৃহায়ণ নীতিমালা ২০১৬ এ মধ্যম ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য মিরপুর হাউজিং স্টেটে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়; যা বাস্তবায়ন করবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
ছোট আকারের ফ্ল্যাটগুলোতে দুটি বেডরুম ও ড্রয়িং রুম থাকবে। প্রতিটি ভবনে থাকবে লিফট সুবিধা। এছাড়া আবাসিক এলাকায় খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুবিধাও থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া নকশাসহ সার্বিক বিষয়ও প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়।
প্রেস সচিব জানান, বঙ্গবন্ধু চত্বর হবে ৬১ কাঠার ওপর। চত্বরে কি কি থাকবে তার উপস্থাপনা তুলে ধরেন স্থপতি রফিক আজম। বঙ্গবন্ধু চত্বরে থাকবে একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী গ্যালারি। ইন্টারেকটিভ ডিজিটাল লাইব্রেরি ও গবেষণা, মাল্টিপারপাস হল, অ্যাম্ফিথিয়েটার। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের প্রদর্শনীও থাকবে এখানে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস