তীব্র তুষারপাতে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে বসনিয়া সীমান্ত আটকে পড়া বাংলাদেশিসহ কয়েকশ’ অভিবাসন প্রত্যাশী। রয়েছে খাদ্য সংকটও। এ অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
একে তো মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তার ওপর তীব্র ঠাণ্ডা। তুষারপাতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বসনিয়ায় আটকেপড়া এসব শরণার্থীরা। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির যাও ছিল তাও গত মাসে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এরপর থেকেই খোলা আকাশের নিচে ও অস্থায়ী পরিত্যক্ত ভবনে আশ্রয় হয়েছে তাদের।
উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের দেশে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে এসব শরণার্থী স্বপ্ন দেখলেও এখন জীবন বাঁচাতেই হিমশিম খাচ্ছে। প্রবল ঠাণ্ডার সঙ্গে যুদ্ধ তো আছেই সেই সঙ্গে খাদ্য সঙ্কট।
একজন বলেন, ‘অনেকেরই এখানে উষ্ণ কাপড় নেই। জুতা নেই। ঠাণ্ডায় আমরা যে কোনো সময় মারা যেতে পারি।’
অন্যজন বলেন, আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা মোটেই নিরাপদ নই। মানুষ সাহায্য করার পরিবর্তে আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বিক্রি করছে। আমাদের সাহায্য দরকার।
ইউরোপে গমন প্রত্যাশী অভিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে বসনিয়ার সীমান্তবর্তী শিবিরে আটকা পড়ে আছেন। কেউ কেউ দীর্ঘ এক বছর ধরে অপেক্ষা করছেন সীমান্তবর্তী ক্রোয়েশিয়া পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার।
জরুরি ভিত্তিতে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তা নাতাশা ওমারোভিক বলেন, ‘অনেক শরণার্থী তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আবার অনেকে বসনিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিত্যক্ত ঘরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। দৈনন্দিন চাহিদা ও প্রয়োজনীয় খাদ্যের কোনো নিশ্চয়তা নেই তাদের। বর্তমানে আমরা আবারও চরম মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি।’
অভিবাসীদের সঙ্কট সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবারও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
বাংলা৭১নিউজ/এবি