ফেনী ও নোয়াখালীর সংযোগস্থলে ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে দুশ্চিন্তায় নদীর পাড়ের হাজার-হাজার পরিবার। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নদীর ভাঙন থেকে আবাদি জমিসহ বসতভিটা রক্ষার জন্য সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর চরদরবেশ গ্রামের ইতালি মার্কেট সংলগ্ন তালতলী এলাকার বাসিন্দারা শনিবার সকালে নিজেদের উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ করেন। প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ৩ শতাধিক তরুণ-যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রম ও এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রাম রক্ষা করতে বাঁধ নির্মাণ করার জন্য এলাকার তরুণ-যুবকরা নিজেদের অর্থে বেশ কিছু গাছ কিনেছে। তাছাড়া এলাকায় যাদের গাছ আছে তাদের কাছ থেকেও গাছ নিয়েছে। এলাকাবাসীর সবার অর্থায়নে গাছ দিয়ে ও বালুর বস্তা দিয়ে এ বাঁধ নির্মাণ করছে। আরও বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। কিন্তু নিজেদের অর্থায়নে আর কতই-বা করা যায়!
মুছাপুর রেগুলেটর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারে ছোট ফেনী নদীর দু’পাশে ভাঙন দেখা দেয়। সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী, চর হাজারী ও মুছাপুর ইউনিয়নের নদীর পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলোর ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে। একাধিক পরিবারের ঘর ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিন একটু একটু করে ভাঙছে। ঘরবাড়ির চাল-বেড়া খুলে রেখে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করছে নদী পাড়ের মানুষ।
চরদরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদী ভাঙন রোধে উত্তর চরদরবেশ গ্রামের তালতলী এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে নদীতে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। এই বাঁধ নির্মাণ করা হলে পানির গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ বিষয়টি ভালো লেগেছে। আমি ওই এলাকায় যাব বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম দেখতে। উপজেলা প্রশাসন থেকে এলাকাবাসীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন