বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের ডোলকুন্ডি গ্রামে জমাজমি ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মানবাধিকার কর্মী মোঃ দুলাল চৌধুরী এখন বাড়ীছাড়া। বাড়ীর সীমানা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে সংঘবদ্বভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তার বসতঘর থেকে বিতাড়িত করার অভিযোগ উঠেছে তারই আপন ৩ সহোদর এবং কতিপয় স্থানীয় রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ব্।েমারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিভিন্ন ধরনের প্রাননাশের হুমকি এবং জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে দুলাল চৌধুরী এখন পালিয়ে বেড়াচেছ।দুলাল চৌধুরী সাংবাদিকদের সামনে বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমাজমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে আপন ভাই আপান চৌধুরী ,তারা মিয়া মুন্সী,আসাদুর ,সায়েদুলসহ সংঘবদ্বভাবে তাকে বেদম মারধোর করে।বসত ঘর কুপিয়ে তছনছ করা হয। ভেঙ্গে ফেলা হয় ঘরের বেড়া,মূল্যবান আসবাবপত্র। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ও তাকে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কর্ ে।পরে দীর্ঘ্যদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাড়ীঘরে ফেরার চেস্টা করলেও বাধা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এ ঘটনায় দুলাল চৌধুরীর মেয়ে শাম্মী আক্তার চৌধুরী বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে ফরিদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলা করে দুলাল চৌধুরী পড়েছেন বিপাকে।মামলার পর আসামীরা মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছ্ ে।
নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিলেও দুর্দান্ত প্রতাপে আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।আর্থিকভাবে চরমভাবে বিপর্যস্ত পরিবারটি বাড়ীঘরে ফিরতে না পেরে অন্যের বাড়ীতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সোমবার সাংবাদিকরা দুলাল চৌধুরীর বাড়ীতে গিয়ে দেখতে পান বাড়ীঘর ব্যাপকভাবে ভাংচুর করা হয়েছে।
দুলালের ভাই,ভাইয়ের স্ত্রী এবং কতিপয় প্রভাবশালীরা দুলাল চৌধুরীর পরিবারের কাউকে ভিড়তে দেননি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টিকে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও কতিপয় সা¦র্থান্বেষীর কারনে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।দুলাল চৌধুরীর স্ত্রী ছানোয়ারা চৌধুরী বলেন,জমাজমির দ্বন্দে প্রায়ই আমার স্বামীকে আফান চৌধুরী ও গ্রাম্য কতিপয় রাঘববোয়ালরা বাড়ীঘরের জায়গা দখল করে বাড়ীছাড়া করার চেষ্টা করছে।
দুলাল চৌধুরীর মা জুলেখা বেগম বলেন,আমার বড় ছেলে দুলাল চৌধুরীকে অন্যায়ভাবে মারধোর করে বাড়ীতে উঠতে দিচ্ছেনা।তিনি অপর দুই পুত্র আফান চৌধুরী ,বালাম চৌধুরী এবং পুত্র বধুদের বিরুদ্বে অপর পুত্র দুলাল চৌধুরীকে অত্যাচার এবং হযরানীর অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় কালামৃধা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মাতুব্বর বলেন,বিষয়টি পারিবারিক জমাজমি সংক্রান্ত। ¯স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস