গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) স্থাপত্য বিভাগের খণ্ডকালীন এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন বিভাগটির এক ছাত্রী। তবে অভিযোগ তদন্তের মুখে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের প্রধান সহকারী অধ্যাপক মানসুরা খানম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
সহকারী অধ্যাপক মানসুরা খানম এবং স্থাপত্য বিভাগের সভাপতি ড. মৃণাল কান্তি বাওয়ালী বলেন, একজন খণ্ডকালীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। বিষয়টির সত্যতা যাচাই চলছে।
জানা যায়, ইদের ছুটি শেষে গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে স্থাপত্য বিভাগের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ঐ বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক শান্তনু বিশ্বাস লিংকনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অসৌজন্যমূলক বার্তা, ছবি এবং কথা পাঠানোর বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে এরই মধ্যে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন শিক্ষক শান্তনু বিশ্বাস লিংকন।
এবিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে ফোন রেখে দেন।
ইস্তফার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘গত ২ জুন স্থাপত্য বিভাগের এক খণ্ডকালীন শিক্ষক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘যেহেতু ঐ শিক্ষক চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাই অভিযোগের সত্যতা পেলেও সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। আমরা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারি।’
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে