মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ ন্যায্যমূল্যে পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে টিসিবি ঢাকায় আসছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে : দীপু মনি ২৩ ফুট লম্বা আঁচল, মেট গালায় শাড়িতে নজর কাড়লেন আলিয়া এক কোটি কার্ডধারীকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেবে টিসিবি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎবার্ষিকী আজ উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৪৭৩৫ চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

তাবলীগ জামাতের বিরোধ ভারতের দেওবন্দে গিয়ে কি মিটবে?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ২০৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার তাবলীগ জামাতের বিভক্তি মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ব ইজতেমা করার জন্য সংগঠনটির দুই গ্রুপের প্রতিনিধিদের ভারতের দেওবন্দে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভারতের দেওবন্দে ফতোয়ার জন্য পাঠানোর এই উদ্যোগকে সরকারের পক্ষ থেকে তাবলীগ জামাতকে ঐক্যবদ্ধ রাখার শেষ চেষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিভক্তির কারণে এবার বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত সময়ে হতে পারে নি এবং অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।তাবলীগ জামাতের নেতা ভারতীয় সাদ কান্দালভিকে নিয়ে বাংলাদেশে সংগঠনটির প্রতিপক্ষ দুটি গোষ্ঠীই যার যার অবস্থানে অনড় রয়েছে।

তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপ এবার আলাদা আলাদাভাবে ঢাকার কাছে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার তারিখ ঠিক করেছিল।সেজন্য টঙ্গীর সেই ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে গত পহেলা ডিসেম্বর।

সেই প্রেক্ষাপটে সরকার তাবলীগের দু’টি গোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করেছিল এবং সেই বৈঠকে ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছিল।নির্বাচনের পর সরকারএখন তাবলীগের বিোধ মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো: আব্দুল্লাহ তাবলীগের দু’টি গোষ্ঠীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে টঙ্গীতে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ব ইজতেমা করার শেষ চেষ্টা তারা করছেন।

“সাদ (কান্দালভি) সাহেব কিছু কথা বলেছেন। এদেশের আলেম ওলামারা মনে করেন, সেটা ধর্মের শরিয়তের বিরোধী। আবার সাদ সাহেবের পক্ষের লোকেরা বলছেন, উনি সেটাকে রুজু করেছেন, মানে প্রত্যাহার করেছেন। তো এখন দেওবন্দের কর্তৃপক্ষ এটাকে অর্থ্যাৎ এই রুজু করাটাকে গ্রহণ করেছেন কিনা বা তা কার্যকর হয়েছে কিনা -এটা দেখার জন্য আমাদের মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে তাবলীগের দুই পক্ষ দেওবন্দ যাবে।”

সাদ কান্দালভিসাদ কান্দালভি।

তাবলীগে বিরোধ মেটানোর জন্য কয়েকদিনের মধ্যে ভারতের দেওবন্দে ফতোয়া নিতে যারা যচ্ছেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নিজেই সেই দলের নেতৃত্ব দেবেন।

কিন্তু বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এর সাথে জড়িতরা আলাদা আলাদাভাবে কাজ করছেন।দু’টি গোষ্ঠীই একে অপরের বিরুদ্ধে চরম বৈরি অবস্থান নিয়ে আছেন, এবং তারা যে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে পারবেন-এটা নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে।

ভারতের সাদ কান্দালভিকে নিয়েই এই যে বিভক্তি, সেই সাদ কান্দালভির পক্ষের অংশের আশরাফ আলী অভিযোগ করেছেন, হেফাজতে ইসলাম এখন তাবলীগ জামাতকেও নিয়ন্ত্রণে নেয়ায় সেখানে রাজনীতি ঢুকে এই বিভক্তি এসেছে।

“হেফাজতে ইসলামের সাথে আমাদের তাবলীগেরই একটা অংশের লিঁয়াজো হয়ে যাওয়ার কারণে বাইরের লোক ঢুকে গেছে। আর সেকারণে একটা রাজনৈতিক স্টাইল এখানে ঢুকে গেছে।”

আশরাফ আলী আরও বলেছেন, “এখন আমাদের দুই অংশের মধ্যে একেবারে নীতিগত পার্থক্য হয়ে গেছে। এটা নয় যে শুধু মনমালিন্য হয়েছে।”

সাদ কান্দালভি তাবলীগ জামাতে কিছু সংস্কারের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ধর্মীয় শিক্ষা বা ধমীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়”।

তাঁর এসব বক্তব্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো বাংলাদেশেও তাবলীগ জামাত বিভক্ত হয়ে পড়ে।তাবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে নিয়ে বিরোধও এই বিভক্তির অন্যতম একটি কারণ।

তবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, সাদ কান্দালভির মতবাদকে তারা ইসলামের পরিপন্থী মনে করেন, সেকারণে তারা এর প্রতিবাদ করেছিলেন। সাদ কান্দালভির বিরোধী অংশের একজন নেতা মাহফুজ হান্নান বলেন, “মি: কান্দালভির পক্ষের অংশ ভুল বুঝতে পারলে, তখনই কেবল ঐক্য হতে পারে।”

“এটা হেফাজত বলে কিছু নয়। সব আলেম সমাজই সাদ কান্দালভির মতবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এখন বিভিক্তি তৈরি হয়েছে শরিয়ত বা কোরান হাদীস নিয়ে। যদি উনারা কোরান হাদীস বা শরিয়তের পক্ষে চলে আসে, তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।”

তবে ভারতের দেওবন্দে গিয়ে যে সমঝোতা হয়ে যাবে, সেটা তাবলীগের দুই পক্ষের এই নেতারা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীও বলছেন তারা একটা শেষ চেষ্টা করছেন।

বাংলা৭১নিউজেএসএইচ/সূত্র:বিবিসি বাংলা

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com