বাংলা৭১নিউজ, বরিশাল: বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষাণর পর একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ৪টি এবং শুক্রবার সকালে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে এ পর্যন্ত ২৭টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দাসেরহাট মজিদবাড়ী পয়েন্টে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ঐশী প্লাস নামে একটি নৌযান ডুবে যায়। একটি ট্রলারকে লঞ্চে রূপান্তর করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছিল।
নৌ অধিদপ্তর জানায় এ লঞ্চটির কোন রুট পারমিট ছিল না। লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পরপর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। ঐ দিন রাতে ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক ডুবন্ত লঞ্চটি পানি থেকে টেনে তোলে। এ সময় পাওয়া যায় আরও চারটি লাশ।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু যাত্রীদের আত্মীয় স্বজন নৌকা নিয়ে লাশের সন্ধান চালায়। রাতেই পাওয়া যায় আরও ৫টি লাশ।
শুক্রবার সকালে মেলে আর ৪টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অর্পনা, মমতা ও জিদানের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান। তিনি জানান, এ নিয়ে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ২৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়ার পর মারা গেছেন।
এদিকে নিখোঁজের তালিকায় রয়েছে ১ জন। বানারীপাড়া উপজেলার মহিষাপোতা গ্রামের আব্দুল হাই এর ছোট ছেলে রাজু ও বড় ছেলে মাইনুল ইসলাম রাজিব ওই দিন লঞ্চটিতে ছিলেন। ইতো মধ্যে মাইনুল ইসলাম রাজিব (২৪) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে রাজুর কোন খোঁজ মিলেনি। স্থানীয় সৈয়দকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃর্ধা জানান, আব্দুল হাই তার বড় ছেলের লাশ দাফন করেই ছোট ছেলেকে খুঁজতে সন্ধ্যা নদীর আশাপাশে ঘুরছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম