সাদা তুষারপাত আর বরফে আবৃত শহরগুলো ঘিরে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বাড়ছে পর্যটক আগমন। বরফে আবৃত প্রদেশগুলোকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে চীন সরকার। দেশটির বেইজিং, হেবেই, শানঝি আর হেনান প্রদেশে সম্প্রসারিত হচ্ছে বরফ অর্থনীতি।
সামনের বছরগুলোতে দেশের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। পর্যটক আকর্ষণের জন্য নতুন করে সাজানো হচ্ছে বরফে ঘেরা ইউন্টাই পর্বত, ওয়ানজিয়ান পর্বত আর বাওকুয়ান গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। যা ১ লাখ ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
এরমধ্যে জিনজিয়াং শহরের বাওকুয়ান টুরিস্ট রিসোর্টের থিম পার্কটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে আছে স্কি রিসোর্ট, থিম পার্ক। তাইহাং পর্বতের বরফের রাজধানী হিসেবে পরিচিত এ স্থানটি। ১ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এটি বিস্তৃত। পর্যটকদের জন্য তাদের আছে ভিন্নধর্মী আয়োজন। আছে বরফ যুদ্ধ, বরফে ড্রাগন নৌকা প্রতিযোগিতা, স্কেটিংসহ নাচ প্রদর্শন।
বরফকে ঘিরে পর্যটন ব্যবস্থায় দেশটির মোট পর্যটন নির্ভর আয়ের ১০ শতাংশ আসে। এই এলাকাকে আরো বেশি পর্যটক বান্ধব করতে এবং বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করতে চীন সরকারের ১৪ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা আছে।
স্নো ট্যুরিজমকে ঘিরে নানা মহাপরিকল্পনা আছে চীন সরকারের। যেসব শহরে শীত মৌসুমে তুষারপাত হয়, সেখানে হট স্প্রিং, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেইসাথে হোম স্টে হোটেলও চালু করা হবে, যেন অতিরিক্ত হোটেল মোটেল তৈরি না হয়ে এলাকায় যারা থাকেন, তারাই পর্যটকদের নিজেদের বাড়িতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।
এলাকাগুলোতে প্রাদেশিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে ট্যুরিস্ট রিসোর্ট তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির সরকারের। স্থানীয়রা বলছেন, তুষার পর্যটনকে এগিয়ে নিতে সরকারের নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। বরফ আর তুষার পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করতে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের উদ্যোগও জরুরি। যা তরুণদের আকর্ষণ করবে এ স্থানগুলো ভ্রমণে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন