বরগুনার পাথরঘাটায় মাটি খুঁড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মা ও কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সুমাইয়া ও তার ৯ মাসের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার স্বামী শাহীন মুন্সি (৩৫) পলাতক রয়েছেন। পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ধারণা, পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে গর্ত খুঁড়ে পুতে রেখেছিলেন শাহিন মুন্সী।
স্থানীয় আবদুর রাজ্জাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। তাদের মধ্যে আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আগেই সুমাইয়ার সন্তান জন্ম নেয়। এর পর শালিস বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু শাহিন সেখানে যাননি। দুপুরে দাওয়াত থেকে সুমাইয়া বাড়ি ফেরার পর থেকেই নিখোঁজ।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই শাহিন পলাতক। তার মোবাইলও বন্ধ।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, শনিবার সকালে স্থানীয়রা শাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়।
এরপর সেখানে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত-পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সুমাইয়ার শাশুড়ি, নানী শাশুড়ি ও মামাত দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শাহীনকেও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি বাশার।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ