জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি প্রিপেইড মিটার চালু করলে চুরির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অবৈধ পন্থায় নিয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগ। অসৎ উদ্দেশ্যে ভেঙেছেন মিটারের সিল, যা ধরা পড়েছে বিদ্যুৎ আদালতের বিচারকের মোবাইল কোর্টে। এ জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দের পাশাপাশি দুটি মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর সেই মামলা থেকে বাঁচতে বিচারকের কাছে বারবার ক্ষমা চান বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক শিকদার।
অন্যদিকে মিটার থেকে বাইপাস সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি করে মুরগির খামারে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতেন পিটিআই এলাকার সুমন হাওলাদার। হাতেনাতে ধরার পর তাকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছে মোবাইল কোর্ট। বরগুনায় নানা কৌশলে এভাবেই চলছে বিদ্যুৎ চুরির হিড়িক।
জেলায় গত পাঁচ বছরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ওজোপাডিকো এর প্রায় ৪ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি ধরা পড়েছে। যার জন্য অসাধু ৮০ গ্রাহকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে প্রায় সোয়া কোটি টাকার। জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রিপেইড মিটার চালু করা গেলে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুৎ চুরি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।
বরগুনা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী অতীত বিশ্বাস বলেন, যদি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয় তাহলে বিদ্যুৎ চুরি হ্রাস পাবে এবং গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে।
বরগুনায় বর্তমানে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহক প্রায় ১৬ হাজার। এখানে ৪৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৮ জন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ