বরগুনা শহরের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫টি দোকান ও বসতঘর পুরে গেছে। আগুন নিভাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানোর অনেক পরে বরগুনা সদর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করেও পানি দিতে পারেনি। ফলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে বেতাগী উপজেলা ইউনিট, মির্জাগঞ্জ ইউনিট, নদী পার হয়ে পাথরঘাটা ও আমতলী ইউনিটসহ মোট ৫টি ইউনিটের প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ওষুধের দোকানের কেমিক্যালে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়। ফার্মেসি ও লেপ-তোষকের ১২টি দোকান এবং ৩টি বসতবাড়িসহ মোট ১৫টি ঘর পুড়ে গেছে।
আগুন নিভাতে গিয়ে এসআই ছিদ্দিকুর রহমানসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এসআই সিদ্দিককে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং বাকিদের প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে লেপ-তোষকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত।
প্রথমে বরগুনার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার পরে তাদের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে উত্তেজিত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালালে তারা গাড়ি সরিয়ে নেয়। এরপর বেতাগী উপজেলা ইউনিট, মির্জাগঞ্জ ইউনিট পরে নদী পাড় হয়ে পাথরঘাটা ও আমতলী ইউনিটসহ ৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর