সংবাদ শিরোনাম
বাংলা৭১নিউজ,বরগুনা: বরগুনার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল খালেক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জিয়াউদ্দিন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ ডিসেম্বর মাসেই ভবনটির কাজ শেষ করাসহ তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর বরগুনার তালতলীতে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় এ জেলায় ২৭টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মধ্যে বরগুনা হাসপাতালের এ ভবনটিও রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল খালেক এন্টারপ্রাইজকে ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কার্যাদেশ অনুযায়ী, ৩০ মাসের (আড়াই বছর) মধ্যে ভবন নিমার্ণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন নতুন ভবনের উত্তর পাশে পুরোনো হাসপাতাল ভবনের সঙ্গে চলাচল করার পথের কাজ করানো হচ্ছে। নতুন ভবনের ভেতরের দরজা-জানালা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানো হয়নি। বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩১ কোটি চার লাখ টাকা তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে ঠিকাদার জানিয়েছেন, আরও ৫০ লাখ টাকা বিল পেলে এ কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবো।
বরগুনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব হোসেন জানান, হাসপাতালটিতে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকে। এসব রোগীকে হাসপাতালে মেঝেতে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবন চালু হলে আর সমস্যা থাকবে না। হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করে আমাদের কাছে হস্তন্তরের জন্য বেশ কয়েকবার ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু তারা হস্তান্তরে দেরি করছে। যার কারণে শয্যা সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
গণপূর্ত অধিদপ্তর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাজিদুর রহমান জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। তবে জানাতে পেরেছি অর্থ সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ। ভবনটি নির্মাণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৩১ কোটি ৪ লাখ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সি এইস
