বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াজ হাওলাদার। দুই মাস আগে সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে (তহসিলদার) লাঞ্ছিত করেন তিনি।
এ অভিযোগে ওই তহসিলদার বাদী হয়ে মামলা করলে তিনি গ্রেফতারও হন। জামিনে ছাড়া পেয়ে সেই রেশ না কাটতেই এবার বন বিভাগের এক কর্মীকে (বাগান মালি) পিটিয়ে জখম করে রিয়াজ। এ ঘটনায় বুধবার সকাল সাড়ে ৫ টায় রাঙ্গাবালী থানায় রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং-০৯) দায়ের করা হয়। বন বিভাগের উপজেলার গঙ্গিপাড়া ক্যাম্পে কর্মরত আবুল হোসেন নামের ওই বাগান মালি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় ওইদিন সকালেই রিয়াজকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী আবুল হোসেন উল্লেখ করেন, ১৯ মে বিকেলে বন বিভাগের উপজেলার গঙ্গিপাড়া ক্যাম্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজার বাজারের দক্ষিণের বেড়িবাঁধের ওপর লাগনো গাছ পাহাড়া দিচ্ছিল বাগান মালি আবুল হোসেন।
এমন সময় আসামি রিয়াজ হাওলাদার তার পথরোধ করে কাজে বাঁধা দেয়। রিয়াজ বলে, ‘তুই ডিউটি করিতেছ কেন?’ এ কথা বলেই তার সরকারি পোশাক টেনে ছিড়ে ফেলে এলোপাতারি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মারাত্মক জখম করে।
এসময় তাকেসহ অফিসের কর্মকর্তাদের জীবন নাশের হুমকি দেয় রিয়াজ। আবুল হোসেন বলেন, ‘গাছের বাগান যাতে নষ্ট না হয় এজন্য আমি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বাগানে ঢুকতে দেই না। এ কথা কেউনা কেউ বলায় রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্বরত অবস্থায় আমাকে জুতা দিয়ে পেটায় এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে। এ ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।’
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘বন বিভাগের বাগান মালিকে মারধরের মামলায় রিয়াজ হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরআগেও রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা রয়েছে। একটি বিচারাধীন, আরেকটি তদন্তাধীন আছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ মার্চ বিকেলে উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন তহসিলদার আবু জাফর মু.সালেহ এর কার্যালয়ে গিয়ে চেয়ার ভাংচুর এবং তাকে লাঞ্ছিত করে রিয়াজ হওলাদার। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড হওয়ায় জমির দাখিলা কেটে দিতে তহসিলদার অপরাগত প্রকাশ করলে এ কা- করেন তিনি। এ ঘটনায় ২১ মার্চ তহসিলদার বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা দায়ের করলে ওইদিনই রিয়াজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস