সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, ম্যাচ শুরু হবে ১৫ মিনিট দেরিতে এবার রাফাহ খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল রূপালী ব্যাংকে হিসাব খোলার মাইলফলক উদযাপন রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা ‘আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি’ কক্সবাজারে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: কুড়িগ্রামের রৌমারিকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: কুড়িগ্রামে বন্যার ১২তম দিনে বানভাসীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ লাখে। নদ-নদীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে চলে গেছে।

বিপুল সংখ্যক বানভাসী মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ কোন ভাবেই তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। দুর্গম চরের মানুষ বন্যা ও বৃষ্টির মধ্যে অমানবিক জীবন-যাপন করছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ।

বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নারু দাস (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এপর্যন্ত পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামের সদর, নাগেশ্বরী ও উলিপুরে ৩ জনের সলিল সমাধি হল।

এদিকে, জেলার রৌমারী উপজেলা সম্পূর্ণরুপে বন্যা কবলিত হওয়ায় রৌমারি উপজেলাকে সরকারিভাবে দুর্যোগপূর্ণ উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ্ মামুন তালুকদার।

download (1)

এছাড়া জেলার ৯ উপজেলায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘ হচ্ছে। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও ল্যাট্রিনের অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে উচু বাঁধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার পরিবার। বন্যা কবলিত এলাকার সবগুলো উচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন উচু প্রতিষ্ঠানে বানভাসী পরিবার গুলো তাদের গবাদি পশু নিয়ে গাদা-গাদি করে বসবাস করছে।

আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো জানায়, জরুরি ভিত্তিতে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা হোক।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আক্তার হোসেন আজাদ জানান, বন্যা দুর্গতের মাঝে এপর্যন্ত ৫শ ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে রৌমারিকে সরকারিভাবে দুর্গত এলাকা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ঘোষণাকে এখতিয়ার বহির্ভূত বলে দাবি করেছেন তিনি।

জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এ ত্রাণ সকল বানভাসীর জন্য অপ্রতুল। বেশির ভাগ বানভাসীর ভাগ্যে ত্রাণ সহায়তা না জোটায় এক বেলা খেয়ে না খেয়ে থাকার অভিযোগ তাদের। জেলার ৯ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সাড়ে ৫শ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক ও ৪০ কিলোমিটার নদ-নদীর তীর রক্ষা বাঁধ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ২ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্গত এলাকায় ৮৫টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে মেডিকেল অফিসার রয়েছে তারা আমাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য খোলা আশ্রয় কেন্দ্রসহ সবখানে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।

পানি কমার সাথে সাথে হয়ত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে তার আগে বানভাসীদের সচেতন করাও হচ্ছে বলে এ সিভিল সার্জন জানান। প্রয়োজনে যে কোন স্বাস্থ্য সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চলমান বন্যায় ৮ হাজার ৩৭৩ হেক্টর ফসল জলমগ্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন কৃষক। এরমধ্যে শাকসবজি ১ হাজার ৮৯ হেক্টর, বীজতলা ২ হাজার ৪১৮ হেক্টর, রোপা আমন ৩ হাজার ১৪৯ হেক্টর, আউশ ৮৯১ হেক্টর ও পাট ৮২৬ হেক্টর। পাট কর্তনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদ জানান, এ পর্যন্ত ৬৭৫ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিতরণ হয়েছে ৫৭৫ মে.টন। প্রাপ্ত ১৮ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আরো ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ মে’ টন চাল চাওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর পানি।

বাংলা৭১নিউজ/এফআর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com