বাংলা৭১নিউজ,(শেরপুর)প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলায় চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। বন্যার পানির তোড়ে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান ডাইভারশনের বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের মাটি ধসে যাওয়ায় ২ দিন ধরে ওই সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ১৮ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজরিডার মোস্তফা মিয়া জানিয়েছেন।
ব্রহ্মপুত্রের পানিবৃদ্ধির ফলে শেরপুর সদরের ৭ ইউনিয়ন, পৌরসভা একাংশ ও নকলা উপজেলার ২ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের ৪০ গ্রামের অন্তত অর্ধালক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদেরকে এখন নৌকা কিংবা কলার ভেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের কুলুরচর-বেপারিপাড়া ও নতুন চর এলাকা এবং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চরবাছুর আলগী ও হাতিমারা এলাকার মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে পাশের উঁচু স্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত কামারেরচর ও চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের বানভাসী মানুষের জন্য ৬ মেট্রিকটন করে ১২ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কামারের চর ইউনিয়নের ৬০০ বানভাসি মানুষের মাঝে চাল-ডালসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এফএ