বাংলা৭১নিউজ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অক্সফোর্ড একাডেমীর উঠান ও যাতায়াতের রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। স্কুলের মধ্যেও পানি প্রবেশ করার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে স্কুল খোলা রেখে দ্বিতীয় পর্ব পরীক্ষা নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ফলে দুর্ভোগ হলেও শনিবার সকালে পানিতে কাপড় ভিজিয়ে স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অনেকের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় সংসারের স্বাভাবিক কাজকর্মই ব্যহত হচ্ছে। যাতায়াতের গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বের হলেই পানি আর পানি। এমতাবস্থায় স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়, হরিরামপুর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বন্যাকবলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা ও ক্লাস বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শনিবার (১৯ আগস্ট) থেকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে ছয়টি উপজেলার ৫শ’৪৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এসব স্কুলে। বন্যার কারণে সরকারী স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শিবালয় অক্সফোর্ড একাডেমীতে।
এতে অনেক কষ্টে শনিবার সকালে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় তারা অন্যত্র চলে গেছে। এতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রবিউল হাসান রাব্বি কৃষ্ণপুর তার খালার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। বন্যার কারণে সে মানিকগঞ্জ মুলজান তাদের বাড়িতে চলে যায়। সে ২য় সাময়ীক পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর ভুইয়া ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমার মেয়ে অক্সফোর্ড একাডেমীর ৪র্থ শ্রেণীর
ছাত্রী। বন্যায় বাড়িতে পানি ওঠায় বাচ্চাদেরকে ঘিওর তাদের নানা বাড়িতে পাঠিয়ে
দিয়েছি। ফলে আমার মেয়ে ২য় সাময়ীক পরীক্ষা দিতে পারছে না। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো কিভাবে সরকারী নিয়ম কানুনের বাইরে চলে এটাই আমার জিজ্ঞাসা? এভাবে অনেক অভিভাবকই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, বন্যার কারণে জেলার ৬টি উপজেলার ৫শ’৪৫টি স্কুলের ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। (১৯ আগস্ট) শনিবার থেকে ২য় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্ত বন্যার কারণে তা স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে না। ওরা ওদের মত করে চলে। তিনি আরো বলেন,তাদের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস