পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্যহাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু রোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করছে। মানুষের এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বন্ধ করতেৎ হবে। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রায়ই দেখা যায়, অনেকে অতিউৎসাহী হয়ে বন্যহাতির দলের একেবারে কাছে চলে যান। ফলে হাতির আক্রমণের শিকার হয়। ফলে এ ধরনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু এড়াতে মানুষকে অপ্রয়োজনে বন্য হাতির নিকটে যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
বুধবার (১৭ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয়’ নির্ধারণের লক্ষ্যে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে হবে। জনগণকে বন্যহাতির কাছ থেকে দূরে রাখার বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্যহাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সোলার ফেন্সিং স্থাপন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। ফসলসহ অন্যান্য ক্ষতি হলে জনগণকে দ্রুততম সময়ে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বন্যহাতির খাদ্য হিসেবে কলাগাছসহ অন্যান্য গাছ রোপণ করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ