রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী সংস্থা ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মালিকানাধীন একটি সংবাদমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার প্রিগোজিনের মালিকানাধীন প্যাট্রিয়ট মিডিয়া গ্রুপের অধীন আরআইএ এফএএন নামে সংবাদমাধ্যমটি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরআইএ এফএএনের পরিচালক ইয়েভজেনি জুবারেভ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের ঘোষণা দেন। তবে জুবারেভ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় জুবারেভ বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার এবং দেশের তথ্য প্রবাহ খাত থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
রুশ সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্ত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, রাশিয়ার গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রসকোমান্দজর প্রিগোজিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি। এ ছাড়া রাশিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছে যে, ট্রল ফ্যাক্টরি নামে প্রিগোজিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও একটি সংবাদমাধ্যম রুশ কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরআইএ এফএএন কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং ক্রেমলিনপন্থী সংবাদমাধ্যম হিসেবেই পরিচিত ছিল। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমটি ওয়াগনার এবং এর প্রধানকে নিয়ে বিভিন্ন ইতিবাচক সংবাদও প্রকাশ করতো। অপরদিকে ট্রল ফ্যাক্টরি নামে সংবাদমাধ্যমটি সাধারণত জনমতকে প্রভাবিত করার কাজে ব্যবহার করা হতো ওয়াগনারের তরফ থেকে।
এর আগে, গত ২৩ জুন ওয়াগনার গ্রুপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে তারা রাশিয়ায় প্রবেশ করে সীমান্তবর্তী একটি সেনা ঘাঁটিও দখল করে নেয়। পরে অবশ্য বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামায় ওয়াগনার।
সে সময়কার চুক্তি অনুসারে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনকে রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। পাশাপাশি ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যদের প্রিগোজিনের সঙ্গে থাকার অথবা রুশ সেনাবাহিনীতে একীভূত হয়ে যাওয়া প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি