শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

বন্ধ হতে চলেছে পণ্য রপ্তানি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে
কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের টানা কর্মবিরতির কারণে কনটেইনারের স্তূপ জমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের টানা কর্মবিরতির কারণে রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে ঢুকতে পারছে না। এ অবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি পণ্য না নিয়ে গত চার দিনে বন্দর ছেড়ে গেছে কনটেইনার পরিবহনকারী ১০টি জাহাজ।

এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতির কারণে আমদানি করা পণ্যভর্তি কনটেইনারও বন্দর থেকে খালাস করা যাচ্ছে না।

চার দিন ধরে চলা এ কর্মবিরতির কারণে কনটেইনার খালাস না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে জমা হয়েছে ৪০ হাজার ২৫০টি কনটেইনার। অথচ বন্দরে কনটেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ) রাখার জায়গা রয়েছে ৩৬ হাজার ৩৫৭টির। বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৩৯ বছরের ইতিহাসে একসঙ্গে এত কনটেইনারের জট হয়নি।

চত্বরে জায়গা না থাকায় জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। বন্দরের ভেতরের বিভিন্ন সড়কের আশপাশেও স্তূপ জমেছে কনটেইনারের। মহাসড়কে গাড়িভেদে পণ্য পরিবহনের পরিসীমা বেঁধে দেওয়ার প্রতিবাদে গত সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। চার দিন ধরে কনটেইনার পরিবহন কার্যত বন্ধ থাকায় পণ্য রপ্তানি প্রায় বন্ধ হতে চলেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পর্ষদ সদস্য জাফর আলম বৃহস্পতিবার ফোনে বলেন, ‘এখন জাহাজ থেকে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার নামিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সমস্যার নিরসন না হলে আস্তে আস্তে বন্দর বন্ধ হয়ে যাবে।’

গত ১৬ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে গাড়িভেদে পণ্য পরিবহনের পরিসীমা বেঁধে দেয়। এর প্রতিবাদে এবং এই প্রজ্ঞাপন স্থগিতের দাবিতে এ কর্মসূচি ডাকা হয়। সংগঠনের আওতাধীন আট হাজার গাড়িতে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। এসব গাড়ি ছাড়া কনটেইনার পরিবহন করা যায় না। সড়ক বিভাগের

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৪ চাকার প্রাইম মুভার ট্রেইলার সর্বোচ্চ ৩৩ টন (গাড়ি ও কনটেইনারের ওজনসহ) পরিবহন করতে পারবে। এর বেশি হলে স্তর ভেদে দুই থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারণ করা হয়।

কনটেইনার পরিবহন করা গাড়ির মালিকেরা বলছেন, ওই প্রজ্ঞাপনের পর প্রতিটি প্রাইম মুভার ট্রেইলারকে জরিমানা করা হচ্ছিল। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

এদিকে কর্মবিরতি নিরসনে গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে কোনো সুরাহা হয়নি। বৈঠক শেষে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

বন্দরের কর্মকর্তারা বলেন, একটি ট্রেইলারের ওজন ১২ টন, কনটেইনারের ওজন ২ টন। ফলে সড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কনটেইনারে সর্বোচ্চ ১৯ টন পণ্য পরিবহন করা যায়। কিন্তু একটি কনটেইনারে সর্বোচ্চ ২৪ টন পণ্য থাকে। আর ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারের ওজন হয় প্রায় ৪ টন। এই কনটেইনারে সর্বোচ্চ ৩০ টন পণ্য থাকে। সড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৪ চাকার প্রাইম মুভার ট্রেইলার সর্বোচ্চ ৩৩ টন পরিবহন করতে পারবে।

কনটেইনারবাহী গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের টানা কর্মবিরতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

গতকাল রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পণ্যবাহী কনটেইনারের ৯৭ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আনা-নেওয়া করা হয়। কর্মবিরতির কারণে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

এ কারণে বন্দর থেকে খালি জাহাজ ফেরত যাওয়ায় রপ্তানিকারকেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, একই সঙ্গে রাজস্ব আহরণও বিঘ্নিত হচ্ছে। যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি সম্ভব না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং দেশের রপ্তানি খাত ভাবমূর্তি-সংকটে পড়ছে।

কর্মবিরতি প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন বলছে, গতকাল বন্দর ছেড়ে যাওয়া তিনটি জাহাজে ৪৩৫টি কনটেইনার রপ্তানি করা যায়নি। এ নিয়ে গত চার দিনে ১০টি জাহাজে ২ হাজার ৭০০টি কনটেইনার রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। এসব কনটেইনার এখন চট্টগ্রামের ১৬টি ডিপোতে আটকা আছে। এসব ডিপোতে ৬ হাজার ৯৩০ কনটেইনার রপ্তানিপণ্য রয়েছে। এসব পণ্যের বড় অংশই পোশাকশিল্পের।

পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নির্ধারিত জাহাজে পণ্য তুলে দিতে না পারায় রপ্তানিকারকদের বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই ক্ষতির কোনো মাপকাঠি নেই। কারণ, এসব পণ্য বিমানে পরিবহন করতে হলেও বিশাল ক্ষতি গুনতে হবে। আবার কনটেইনারভর্তি আমদানি করা কাঁচামাল খালাস করতে না পারায় কারখানার উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।

বন্দরের চত্বরে এখন শুধু কনটেইনার খুলে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে পণ্য খালাস করার সুযোগ পাচ্ছেন আমদানিকারকেরা। কর্মবিরতির কারণে পণ্যসহ পুরো কনটেইনার খালাস করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে আগামী শনিবার থেকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকেরা ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, কর্মবিরতির কারণে পণ্য খালাস করতে না পারায় কনটেইনারের ভাড়া বাবদ বন্দর ও জাহাজ কোম্পানিগুলোকে জরিমানা দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

বন্দর সূত্র জানায়, ‘এমভি সায়গন ব্রিজ’ নামের একটি জাহাজের রপ্তানিপণ্যভর্তি ৮০০ কনটেইনার নিয়ে শুক্রবার (আজ) সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে এসব কনটেইনার ইউরোপ-আমেরিকাগামী বিভিন্ন জাহাজে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজে তোলা হয়েছে মাত্র ১৬টি কনটেইনার।

জাহাজটি পরিচালনাকারী কে লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সাহেদ সরওয়ার বলেন, কনটেইনার না পাওয়ায় জাহাজটি প্রায় খালি যাচ্ছে। ভাড়া না পাওয়ায় এতে তাঁদের অন্তত দুই লাখ ডলার ক্ষতি হবে।

বন্দরের মতো কনটেইনার ডিপোতেও অচলাবস্থা চলছে। সারা দেশের বিভিন্ন কারখানা থেকে রপ্তানিপণ্য কাভার্ড ভ্যানে করে এনে এসব ডিপোতে নির্ধারিত গুদামে রাখা হয়। এরপর ডিপোর চত্বরে রপ্তানিপণ্য কনটেইনারে বোঝাই করা হয়। পরে কনটেইনারবাহী গাড়িতে (প্রাইম মুভার ট্রেইলার) করে বন্দর দিয়ে তা জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।

বন্দরে রপ্তানিপণ্যভর্তি কনটেইনার পরিবহন বন্ধ থাকায় ডিপোতেও কনটেইনারের স্তূপ জমেছে। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৬টি ডিপোতে রপ্তানি ও আমদানিপণ্য ভর্তি, খালি কনটেইনারসহ প্রায় ৫৫ হাজার ৩৮৬ কনটেইনার পড়ে ছিল।

কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, বেশির ভাগ ডিপোর রপ্তানিপণ্যের গুদাম এখন প্রায় পরিপূর্ণ।

রপ্তানিপণ্য পরিবহনের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম বলেন, রপ্তানিপণ্যের কনটেইনার প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলোতে যায়। কিন্তু কোনো কনটেইনার একবার জাহাজে তুলে দিতে বিলম্ব হলে ওই তিন দেশে অপেক্ষমাণ জাহাজে তা আর তুলে দেওয়া যায় না। এতে রপ্তানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়েন।

খালাস না হওয়া কনটেইনারে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের আমদানি করা কাপড়সহ সরঞ্জাম রয়েছে। কাঁচামাল না পেয়ে পোশাক কারখানার উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কর্মবিরতির কারণে তাঁদের কারখানার ২০ কনটেইনার কাপড় আটকা পড়েছে। কাঁচামাল না পেয়ে কারখানার উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।

কর্মবিরতি নিরসনে গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন আন্দোলনকারী মালিক-শ্রমিক নেতাদের বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন ১৪ চাকার গাড়িতে সব মিলিয়ে ৩৩ টন পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে।

তবে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী আরও ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৮ টন পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে। বিষয়টি নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠক পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মালিক-শ্রমিক নেতারা ওই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা না হলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানান। পরে বৈঠক থেকে জেলা প্রশাসক মুঠোফোনে এই বার্তা পৌঁছে দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে।

বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুকভরা আশা নিয়ে বৈঠকে এসেছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত না আসায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।’

গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান গাড়ি মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও। বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে আগামী শনিবার থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় ফোনে বলেন, প্রজ্ঞাপন নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর বৈঠক হবে। এর আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের (যে কোনো পরিমাণ) জন্য প্রতিটি গাড়িকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। এই শর্তে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে, কর্মসূচিও স্থগিত করা হবে।

অবশ্য সমঝোতার বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর আর কারও সঙ্গে আমাদের কথা হয়নি।’

এদিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারে গত রাত ১১টা থেকে কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আবার বৈঠকে বসেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. শামসুল আরেফিন। নগরের ডিসি হিলে তাঁর বাসভবনে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা ধরে এ বৈঠক চলে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে ডিসি হিল প্রাঙ্গণে গত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, সমঝোতা হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: প্রথম আলো থেকে নেয়া

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com