বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে শুক্রবার একত্রে গিয়েছিলেন তিন বন্ধু ফারাজ আইয়াজ হোসেন, অবিন্তা কবির ও তারুশি জৈন।
সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পর যখন হামলা করে তখন সুযোগ পেলেও দুই বন্ধুকে বিপদের মুখে ফেলে নিজে বাঁচার সুযোগ নেননি ফারাজ।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ফারাজ (২০)। গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন তিনি। আগস্টে তার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
একই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার অবিন্তা কবির। আর যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। বাবার কর্মসূত্রে ঢাকায় ফারাজদের সঙ্গে একই স্কুলে পড়েছিলেন তারুশি।
এই তিনজন তাই পরস্পরের বন্ধু ছিলেন। তারুশি একটা শিক্ষানবিশ বৃত্তি পাওয়ার পর কাজ করতে এসেছিলেন ঢাকায়। তিন বন্ধু দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য গিয়েছিলেন আর্টিজানে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, জঙ্গিদের নিশানা ছিল বিদেশিরা। বাংলাদেশিদের একপর্যায়ে ছেড়ে দিতে শুরু করে জঙ্গিরা।
জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে আসা মানুষদের কাছ থেকে শোনা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস উল্লেখ করে জঙ্গিরা ফারাজ হোসেনকে মুক্তি দিয়ে চলে যেতে বলে। এ ছাড়া জিম্মি অন্য বাংলাদেশিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন। কিন্তু ফারাজ তখন বলেন, আমার দুই বন্ধুর কী হবে।
জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না। জঙ্গিরা জানতে পারে যে, অবিন্তা কবির এসেছেন আমেরিকা থেকে। আর তারুশি জৈন ভারতীয়।
ফারাজ বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না। পরের দিন ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ফারাজের নানা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান। শুধু বন্ধুদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে নিজে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চাননি ফারাজ। বাঁচার সুযোগ পেয়েও তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন বন্ধুত্বের জন্য।
বাংলা৭১নিউজ/সুত্র:রাইজিংবিডি