রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

বন্ধুত্বের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন ফারাজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে শুক্রবার একত্রে গিয়েছিলেন তিন বন্ধু ফারাজ আইয়াজ হোসেন, অবিন্তা কবির ও তারুশি জৈন।

সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পর যখন হামলা করে তখন সুযোগ পেলেও দুই বন্ধুকে বিপদের মুখে ফেলে নিজে বাঁচার সুযোগ নেননি ফারাজ।

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ফারাজ (২০)। গ্রীষ্মের ছুটিতে ঢাকা এসেছিলেন তিনি। আগস্টে তার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

একই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ঢাকার অবিন্তা কবির। আর যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। বাবার কর্মসূত্রে ঢাকায় ফারাজদের সঙ্গে একই স্কুলে পড়েছিলেন তারুশি।

এই তিনজন তাই পরস্পরের বন্ধু ছিলেন। তারুশি একটা শিক্ষানবিশ বৃত্তি পাওয়ার পর কাজ করতে এসেছিলেন ঢাকায়। তিন বন্ধু দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য গিয়েছিলেন আর্টিজানে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, জঙ্গিদের নিশানা ছিল বিদেশিরা। বাংলাদেশিদের একপর্যায়ে ছেড়ে দিতে শুরু করে জঙ্গিরা।

জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে আসা মানুষদের কাছ থেকে শোনা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস উল্লেখ করে জঙ্গিরা ফারাজ হোসেনকে মুক্তি দিয়ে চলে যেতে বলে। এ ছাড়া জিম্মি অন্য বাংলাদেশিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও ফারাজকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন। কিন্তু ফারাজ তখন বলেন, আমার দুই বন্ধুর কী হবে।

জঙ্গিরা বলে, ওদের ছাড়া হবে না। জঙ্গিরা জানতে পারে যে, অবিন্তা কবির এসেছেন আমেরিকা থেকে। আর তারুশি জৈন ভারতীয়।

ফারাজ বলেন, দুই বন্ধুকে ফেলে রেখে আমি যাব না। পরের দিন ফারাজ হোসেনের লাশ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, ফারাজের নানা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান। শুধু বন্ধুদের বিপদের মুখে ফেলে রেখে নিজে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চাননি ফারাজ। বাঁচার সুযোগ পেয়েও তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন বন্ধুত্বের জন্য।

বাংলা৭১নিউজ/সুত্র:রাইজিংবিডি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com