বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বন্দুকযুদ্ধের নামে দেশে মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্য করেন।
রিজভি বলেন, সারা দেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে মারণযজ্ঞ চলছে। গত তিন দিনে চার জেলায় বিচারবহির্ভূত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে সাতজন।
চলতি মাসে যেন পোকামাকড়ের মতো মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে।
রিজভী বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার উদ্বেগ জানালেও তাতে সরকারের টনক নড়ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের বিচারবহির্ভূত হত্যার মূল উদ্দেশ্য- দেশকে স্থায়ী দুঃশাসনের বজ্র আঁটুনিতে বেঁধে ফেলা। আর সে জন্য জনগণকে আতঙ্কিত করে রাখা, যাতে আগামীতে একতরফা নির্বাচনের নীল নকশার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহসী না হয়।
অবিলম্বে বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ ও বর্তমান সরকারের আমলে সংঘটিত সব বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ঈদের আগে ক্ষমতাসীন লোকজনের পকেট ভারী করতেই সড়ক সংস্কারের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। যাঁরা সারা বছর মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে রাখেন, তাঁরা কোন আরব্য রজনীর দৈত্যকে দিয়ে ঈদের কয়েক দিন আগে সব রাস্তাঘাট মেরামত করে ফেলবেন, সেটি কারো উপলব্ধিতে আসে না।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। খালেদা জিয়াবিহীন কোনো জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ মুহূর্তে বিএনপির ইশতেহার হচ্ছে, দেশনেত্রীর মুক্তি, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস