যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। তবে যে ৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের নিয়ে হচ্ছে বেশ আলোচনা। যা হামাসকেও আলোচনায় নিয়ে এসেছে আবার। তিন বন্দির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উপহারের ব্যাগ, সেটা আবার হামাসের পক্ষ থেকে।
হামাসের কাছে ৪৭১ দিন বন্দি ছিলেন গতকাল মুক্ত হওয়া তিন ইসরাইলি— রোমি গোনেন, এমিলি দামারি ও ডরন স্টেইনব্রেখার। তারা মুক্তি পেয়ে পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
তাদেরকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিয়ে তুলে দেওয়া হয় এসইউভি গাড়িতে। তা যখন সীমান্তের দিকে রওনা দিচ্ছে, তার ঠিক আগে, একজন ব্যক্তি তাদের হাতে আল-কাসাম ব্রিগেডের লোগোযুক্ত উপহারের ব্যাগ তুলে দেন।
হিব্রু ও ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমে বলা হয়, ব্যাগে ছিল বন্দিদশার ছবি, গাজার মানচিত্র এবং একটি ‘সার্টিফিকেট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন’। মুক্তির আগে এই সার্টিফিকেট হাতে পোজ দিতে বলা হয় তাদের।
ইসরাইল অবশ্য একে দেখছে নতুন ‘নিষ্ঠুরতা’ হিসেবে। দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ‘এটি নারীরা, যারা স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত ছিল, তাদের প্রতি হামাসের মনস্তাত্ত্বিক ও নিষ্ঠুর শোষণের প্রতীক।’
সামাজিক মাধ্যমে ইসরাইলি সমর্থকরা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, ‘ওরা যেন নরকের কোনো শিক্ষা সফরে গিয়েছিল।’
অন্যদিকে, অনেক ফিলিস্তিনি এই ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিয়া বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আম্মাদের প্রতিরোধের ফল হিসেবে এসেছে। এটা হামাসের নিয়ন্ত্রণের প্রতীক।’
আল-জাজিরার আরেক সাংবাদিক সুহাইব আল-আসা মুক্তি সনদকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘রিলিজ ডেসিশন’-এর সাথে তুলনা করেন।
প্যালেস্টিনিয়ান অ্যাকটিভিস্ট তামের কাদিহ বলেন, ‘এই মুহূর্তটি হামাসের ভিডিওকে আকর্ষণীয় করেছে এবং এটি ভিন্নভাবে চিন্তার উদাহরণ।’
এদিকে, ইসরাইলি জিম্মি এমিলি দামারি মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমি আমার প্রিয়জনদের কাছে ফিরে এসেছি। আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ