রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান। এর আগে গুলশান আজাদ মসজিদে আসরের নামাজের পর তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
তোয়াব খানের সর্বশেষ কর্মস্থল তেজগাঁওয়ের দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তোয়াব খান।
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো মরদেহবাহী কফিনে ঢাকা জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে তোয়াব খানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে দুপুর একটায় অনুষ্ঠিত হয় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা। জানাজা শুরুর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও ছোট ভাই ওবায়দুল কবীর খান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
ফরিদা ইয়াসমিন জানান, তোয়াব খানের চলে যাওয়া মানে সাংবাদিকতার একটি ইতিহাসের অধ্যায় শেষ হওয়া। তোয়াব খানের মতো সাংবাদিককে নিয়ে কথা বলার মতো উপযুক্ত মানুষ আর নেই। তবু ৮ অক্টোবর সকাল এগারোটায় একটি শোকসভার আয়োজন করা হবে, সেখানে তাঁর সহকর্মীরা স্মৃতিচারণ করবেন।
দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মরদেহ তাঁর গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ