মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ: এক বছরেও শেষ হয়নি মামলার বিচার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৫ মে, ২০১৮
  • ৪২৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের এক বছর পার হলেও মামলার বিচার কাজ আজও শেষ হয়নি। বিচারের আশায় দিন কাটাচ্ছেন বাদীপক্ষ।

গত বছরের ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে ইতোমধ্যেই দুই আসামি জামিন পেয়েছেন। মামলার মোট ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আগামী ১৭ মে এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার কাজ চলছে। তবে সম্প্রতি সরকারের গেজেট অনুসারে অধিক্ষেত্রে পরিবর্তন হওয়ায় আগামীতে মামলাটি ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য স্থানান্তর হবে।

জানতে চাইলে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এ মামলায় বাদীসহ হোটেলের কর্মচারিদের সাক্ষী হয়েছে। হোটেলের কর্মচারিরা আদালতে বলেছেন, যে তারা (দুই ছাত্রী ও পাঁচ আসামি) হোটেলের গেস্ট ছিলেন। এ ছাড়া মামলার আসামিরাও আদালতের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ মামলার বিচারের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। মামলার বাদীর (ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন) সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। অপর ভিকটিকের (ধর্ষণের শিকার অপর শিক্ষার্থী) পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ হলেই সেও আদালতে সাক্ষী দেবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সরকার গ্যাজেট প্রকাশ করে রাজধানীর থানাগুলোর অধিক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছে। সে অনুসারে এ মামলাটির বিচার কার্যক্রম আগামীতে ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে। তবে ওই ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত কোনো এজলাস নেই। এমনকি পাবলিক প্রসিকিউটরও পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া হয়নি। এমতাবস্থায় মামলার পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত। এর আগে তদন্ত শেষে ওই বছরের ৮ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চার্জশিটে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়, ধর্ষণের পর সাফাত আহমেদের নির্দেশে ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন বাদীনীকে আইপিল (জš§ নিয়ন্ত্রণ বড়ি) খাওয়ানোর জন্য দোকান থেকে তা সংগ্রহ করেন। বাদীনী আইপিল খেতে না চাইলে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ সাথীর বন্ধু শাহরিয়ারকে আইপিল খাওয়াতে বলে মারধর করেন। মারধরের ঘটনা আসামি নাঈম আশরাফের নির্দেশে ড্রাইভার বিল্লাল তা তার মোবাইলে ধারণ করেন। পরে তা ডিলেট করা হয়। ডিজিটাল ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৩টি ডিলেটকৃত ভিডিও ক্লিপ ফাইল উদ্ধার করা হয়।

আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের সঙ্গে ওই দুই তরুণীর ধর্ষণের ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ধর্ষিতা এক তরুণীর (বাদী) পূর্ব পরিচিতি বন্ধু ও অপর আসামি সাদমান সাকিফের মাধ্যমে গুলশানের পিকাসো হেটেলে পরিচয় হয়।

পরিচয় হওয়ার পর থেকে ধর্ষিতা সাথী সঙ্গে আসামি সাফাত আহমেদের টেলিফোনে অনেকদিন কথা হয়। কথা হওয়ার মাঝে সাফাত আহমেদ গত বছরের ২৮ মার্চ জš§দিনের কথা বলে বাদীনীকে তার বান্ধবীসহ অন্যান্য বন্ধুদের নিয়ে জš§ দিনের পার্টিতে রেইন ট্রি হোটেলে আসার জন্য দাওয়াত দেন।

ঘটনার দিন সাফাত আহমেদ তার গাড়ির ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন ও গানম্যান রহমত আলীকে পাঠিয়ে দিয়ে বাদীনী ও তার অপর বান্ধবীকে নিকেতনের বাসা থেকে রাত ৯টার দিকে সাফাত আহমেদের গাড়ি দিয়ে ওই হোটেলে নিয়ে আসে। ড্রাইভার বিল্লাল হোসেন বাদীনী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের রুমে পৌঁছে দেয়।

আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথমে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এমনকি ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন আসামি ও আসামির পরিবার।

ঘটনার ৪০ দিন পর ওই দুই ছাত্রী গত বছরের ৬ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে শুধুমাত্র দেহরক্ষী রহমত আলী ছাড়া বাকি সবাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলায় আসামি সাফাত আহমেদ ছাড়াও তার দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ও সাদমান সাকিফ কারাগারে রয়েছেন। আর সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী জামিনে আছেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com