বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গুলি, পুলিশ বলছে ‘মিসফায়ার’ বিদেশযাত্রায় দালালের দৌরাত্ম্য কমাতে দেওয়া হচ্ছে সাজা ও অর্থদণ্ড পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে : খাদ্যমন্ত্রী নাটোরে ঋণের চাপে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান কাউন্সিলরের ১০ বছরের কারাদণ্ড নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ তিন দেশ থেকে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার আনবে সরকার ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে ডুবে গেছে লবণ বোঝাই ১০ ট্রলার ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ : সিইসি একলাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে ঢাকা ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন কেন্দ্র দখল করতে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষে আহত ১৫ বুশরা বিবিকে বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাব: প্রধানমন্ত্রী ঝিনাইদহে ৫ ঘণ্টায় ৭ ভোট! ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

বছরে ৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেন জুলফিকার

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বরইয়ের কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

জানা যায়, খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী ২০০৯ সাল থেকে আপেল কুল চাষ করে আসছেন। সাড়ে ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তিনি এই কুল বরই চাষ করছেন। ২০০৯ সালে ১০০ চারা দিয়ে শুরু করেন।

আজ তার বাগানে ২৫০টি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর এই গাছগুলোর পরিচর্যা ও জমির খরচ হয় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর প্রতি বছর ফল বিক্রি করেন ৫ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। জুলফিকার আলী কাজীপুর উপজেলার বীর শুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি একজন সফল কুল চাষি।

 

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক জুলফিকার আলীর কুল চাষ দেখে এলাকার লোকজন উৎসাহিত হচ্ছেন। অনেকেই কুল চাষে এগিয়ে আসছেন। অনেকেই তাকে দেখে কুল চাষ শুরু করেছেন। যে কেউ তার কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে।

কুল চাষি জুলফিকার আলী বলেন, ২০০৯ সালে ৬৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৭ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে কুল চাষ করে আসছি। প্রতি বছর জমির ভাড়া ও বাগান পরিচর্যায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রথম দুই বছর খুব একটা লাভ করতে পারিনি। কারণ প্রথম অবস্থায় বুঝতে পারিনি। আস্তে আস্তে এখন সব ঠিক হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২২ কেজি আপেল কুল ধরেছে। প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছি। দামটাও বেশ ভালো পাচ্ছি। কুল দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি হয়েছে। বাগান থেকে কুল সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী জানান, সিরাজগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ হচ্ছে। জুলফিকার আলী এখন অভিজ্ঞ কুল চাষি। তিনি আপেল কুল চাষে সফলতা পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাকে দেখে আরো মানুষ এই কাজে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com