বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তিনটি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ডুবে যাওয়া এসব ট্রলারের ২৮ জেলে উদ্ধারার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে দুই জেলে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. গভীরে সোনারচর এবং ফেরার বয়া এলাকায় ট্রলার তিনটি নিমজ্জিত হয়।
এসময় কাছাকাছি থাকা অপর দুইটি মাছধরা ট্রলার বুধবার সকালে ওই ট্রলারের ২৮ জেলেকে উদ্ধার করে। বুধবার শেষ বিকেলে মৎস্যবন্দর আলীপুর নিয়ে এসেছে। নিখোজ জেলেরা হল কলাপাড়ার চম্পাপুরের নসু মিয়া (২৫) ও গলাচিপার গোলখালীর রহমান শিকদার (৩২)। উদ্ধার হওয়া জেলেদের সুত্রে জানাগেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারনে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় এফবি মায়ের দোয়া, এফবি নায়ে তহবিল, এফবি পলাশ ট্রলার তিনটি নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দোশ্যে মৎস্যবন্দর আলীপুরে ফিরে আসার পথে সোনারচর এবং ফেরার বয়া এলাকায় ট্রলার তিনটি নিমজ্জিত হয়।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ২৮ জেলেকে এফবি আলআমিন ও অপর ১টি ট্রলারে মৎস্যবন্দর আলীপুরে বিকেল ৪টার দিকে নিয়ে আসে। এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি রাঙ্গাবালী উপজেলার বড় বাইশদা ইউনিয়নের জাফর মিয়ার। মালিক নিজেই ঔ ট্রলারের মাঝি ছিলেন। একই এলাকার এফবি নায়ে তহবিল ট্রলারের মালিক বাহাউদ্দিন এবং এফবি পলাশের মালিক পলাশ কলাপাড়ার চম্পাপুর বলে জানা যায়। উদ্ধাকারী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার এফবি আল-আমিন ট্রলারের মাঝি মাসুদ মিয়া জানান, নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে তিনি ট্রলার নিয়ে মৎস্যবন্দর আলীপুরে ফিরে আসছিলেন। সকাল আনুমানিক ১০টার
দিকে সোনার চরের বাহিরে ডুবে যাওয়া ট্রলার দেখতে পেয়ে সেখানে যান। ডুবে যাওয়া ট্রলারের সাথে জেলেদের ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস