কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার মূল দুই আসামি মাদরাসা ছাত্র মিঠুন ও নাহিদকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হয়। রোববার বেলা ২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশ তাদেরকে আদালতে হাজির করে। জানা গেছে, বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া শুরু হয়। প্রথমে আসামি নাহিদকে আলাদা করে জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক দেলোয়ার হোসেন। এরপর অপর আসামি মাদরাসা ছাত্র মিঠুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সাথে সরাসরি জড়িত মাদরাসার দুই ছাত্র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি আছে। এই ঘটনার সাথে আরও কেউ বা কোনো গোষ্ঠী জড়িত তা তদন্তের সার্থে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে এর সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেনো সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।গত ৮ তারিখে পুলিশের আবেদনে চার আসামির মধ্যে দুই মাদরাসা ছাত্রের ৫ দিন করে ও দুই মাদরাসা শিক্ষককে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড দেন আদালত।
৯ তারিখ থেকে এদের রিমান্ড শুরু হয়। এর আগে গতকাল একই মামলার অপর দুই আসামি মাদরাসা শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীও চারদিনের রিমান্ড শেষে একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পৌরসভার পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ভাঙচুরের সাথে সরাসরি জড়িত দুই মাদরাসা ছাত্রকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পরে মাদরাসার ওই দুই ছাত্রকে সহযোগিতা করার জন্য মাদরাসার দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে এ মামলায় আসামি করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি