বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য প্রাক্তন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রহিমকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বারডেমের এইচ ডি ইউ পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়।
এর আগে তিনি দিনাজপুরে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হয়। গত ২ আগস্ট রাতে তাকে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যা এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির রোগে আক্রান্ত।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্তফ্রন্টের একজন কর্মী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশ নেন।
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার লিগ্যাল এইড কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে বৃহত্তর দিনাজপুর আঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। মুজিবনগর সরকারে তাকে পশ্চিম আঞ্চলিক জোনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির ৩৪ জন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্য ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ সালে দিনাজপুর সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তার দুই ছেলে। বড় ছেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও অপর ছেলে জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রহিম।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। এর আগে তাকে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি দিনাজপুরবাসী ও দেশবাসীর কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস