বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় সংসদ।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা সংসদে গৃহীত হয়।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এ সময় অধিবেশনের সভাপিতত্বে ছিলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে এলেও প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো না থাকায় এখনও তা সম্ভব হয়নি।
তবে শিগগিরই এ বিষয়ে আইন করা হবে বলে গত বছর আশ্বাস দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও সংশোধনীর ওপর দেয়া বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে রক্তক্ষরণ বাঙালি জাতির শুরু হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ৬১ জন সাক্ষির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষিরা ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে তা পড়লে যে কারোই চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজ যে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই টাস্কফোর্সের এক সভায় হত্যাকারীদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কোন স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু আইন মেনে রাজনীতি করেছেন। তাঁর সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আইন মাফিক চলতে চান। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সাধারণ আইনে করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা বাংলাদেশে কোন সম্পত্তি রাখার অধিকার রাখে না। হত্যাকারীদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে কোন নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না। তবে যাদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হলে নতুন আইনের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি আইন সংসদে পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ব্যাপারেও ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
আইনমন্ত্রী সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। পরে কণ্ঠভোটে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস