বাংলা৭১নিউজ,বগুড়া: বগুড়ার গাবতলীতে তারাবী নামাজ চলাকালে মসজিদের ছাদের ওপর একাধিক শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও মুসুল্লীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গাবতলী উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ছাদে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত জামে মসজিদে প্রতি দিনের মত বুধবার রাতেও মুসুল্লীরা তারাবীহ নামাজ আদায় করছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে কে বা কারা মসজিদের ছাদের ওপর পর পর কয়েকটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মুসুল্লীরা তাড়াহুড়ো করে মসজিদ ত্যাগ করেন। পরে মোয়াজ্জিন মসজিদে তালা দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
মুসুল্লীরা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব ছাড়াও অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সরকারি কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বুধবার রাতেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মসজিদে তারাবীহ নামাজ আদায় করেছেন। কিছু সংখ্যক মুসুল্লী আট রাকাত নামাজ আদায় করে চলে গেলে বাকিরা মসজিদে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করছিলেন। নামাজের শেষ রাকাতের সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়লে নামাজ শেষ করে মুসুল্লীরা তাড়াহুড়ো করে মসজিদ ত্যাগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহিদ মাহমুদ খান জানান, গত কয়েকদিন ধরে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই জের ধরে আতংক ছড়ানোর উদ্দেশে মসজিদ সংলগ্ন বিআরডিবি অফিসের পার্শ্বে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব জানান, মসজিদের ছাদে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে এমন খবর শুনেছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস