বগুড়ায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যায় ফরিদ শেখ নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই অপরাধে আরও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত আল আমিন বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি এলাকার বাদশা শেখের ছেলে। তিনি কড়াই নির্মাণের কারখানায় কাজ করতেন। ২০১৯ সালের ৬ জুন তাকে প্রতিবেশীরা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৮ জুন সদর থানায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন বাদশা শেখ।
এরমধ্যে ফরিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেন বিচারক।
তারা হলেন, ইয়াকুব আলী শেখ, মঞ্জু শেখ, নয়ন শেখ, সোহাগ শেখ, মাছুম শেখ, আব্দুর রাজ্জাক শেখ ও খোরশেদ শেখ। এরা সবাই কুটুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি জানান, আল আমিনের বড় চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ দ্বন্দ্বের জেরে ৬ জুন সকালে বাড়ির উঠানে চাচাকে মারধর করেন আসামিরা। এটা দেখে আল আমিন বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। ওই সময় আল আমিনের পেটে ধারালো সুরকি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, মামলার শুনানিতে অভিযোগের বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়। এজন্য বিচারক ফরিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি সাতজনের যাবজ্জীবন সাজা দেন। এছাড়া মামলার এজাহারে আরও তিন নারী আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না থাকায় খালাস দেওয়া হয়।
নিহতের মা নাছিমা বেগম বলেন, ওরা আমার চোখের সামনে ছেলেকে হত্যা করেছে। এ মামলা চলা অবস্থায় ওরা আমাদের অনেক হুমকি-ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এ রায়ে আামি খুশি। তবে আমার দাবি ওরা উচ্চ আদালতে গিয়ে যে রায় পরিবর্তন করতে না পারেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ