বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করলো পূবালী ব্যাংক কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গা মুফতি-ওলামাদের সমাবেশ ভিডিও: কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ৪০ উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড দেখে নিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কোথায়? ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ, স্নাতক পাসেও আবেদনের সুযোগ

বাম্পার ফলনে খুশি বগুড়ার মরিচ চাষিরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২ জুলাই, ২০১৭
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, বগুড়া: বগুড়ায় বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি হয়েছে এখানকার মরিচ চাষিরা। জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় রোদে শুকানো, আর ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানির এজেন্ট ও পাইকারদের সাথে দাম নিয়ে চলছে কর্মচঞ্চলতা। এখানকার মরিচের ঝাল ভালো হওয়ায় এবং খ্যাতি থাকায় দেশের বড় বড় নামীদামী কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা কেনার জন্য ভিড় করছে সেখানে। বগুড়ায় এবার ৭০ হাজার মেট্রিক টন মরিচ (শুকনা) উৎপাদন হয়েছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৭শ’ ৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যমুনা নদী বেষ্টিত অর্ধশতাধিক চরসহ অন্য এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এ জমি হতে ১০ হাজার ৩শ’ ৭৪ মেট্রিক টন কাঁচা এবং ৪ হাজার ৩শ’ ৩৫ মেট্রিক টন শুকনা মরিচের ফলন পাওয়া যাবে। মৌসুমের শুরুতে কাঁচামরিচ বিক্রি করে মরিচ চাষিরা প্রচুর লাভবান হয়েছে। বর্তমানে বাজারে পাকা মরিচ সাড়ে ৮শ’ হতে ৯শ’ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার হাজার হতে ৪ হাজার ৮শ’ টাকা মন দরে।

জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, কাজলা, কর্ণীবাড়ি, বোহাইল ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং হাটশেরপুর, চন্দনবাইশা এবং সদর ইউনিয়ন আংশিক যমুনার চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত। এসব চর গ্রামগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। চরগ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা মূলত কৃষির নির্ভরশীল। উৎকৃষ্ট মানের মরিচ হওয়ায় সারা দেশব্যাপী বগুড়ার সারিয়াকান্দির মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে এখানে উৎপাদিত মরিচের দাম সব সময় বেশি। বর্তমানে সারিয়াকান্দির মরিচ চাষিরা তাদের উঠানে, নদীর তীরে, বাড়ির পাশে উঠান তৈরি করে রোদে মরিচ শুকিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাজারে শুঁকনো মরিচ বিক্রি শুরু করেছেন।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার সাহাদত জানান, যমুনা নদীর চরের মরিচ চাষিরা প্রথমে কাঁচা মরিচ বিক্রি করে। পরে তারা মরিচ পাকিয়ে নিয়ে রোদে শুকিয়ে মুকনা আকারে বাজারে বিক্রি করে থাকে। বর্তমান বাজারে শুকনা মরিচ খুচরা বাজারে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজ বলাইল গ্রামের সুলতান মাহমুদ জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে ৪০ মন শুকনা মরিচ পাওয়ার আশা করছেন। মরিচ চাষে তার খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দরে তিনি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন।

পাকুরিয়া চরের কৃষক জিল্লার রহমান জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। বন্যার পর কৃষি বিভাগের পরামর্শে শীত সবজির চাষ করেন। সবজির পরই তিনি মরিচ চাষ করেন। জমি থেকে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন। এবার সব খরচ বাদে তিনি শুকনা মরিচ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করার চিন্তা করছেন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, চলতি বছর সারিয়াকান্দি উপজেলায় প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার, কীটনাশক, পানি সেচ ও পরিচর্যাসহ মরিচ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। গত বছরের মত এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৬ মন করে মরিচ উৎপাদন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের পরিচালক হজরত আলী জানান, গত বছর বগুড়ায় সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে চাষাবাদ হয় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছর জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার হেক্টর সেখানে চাষাবাদ হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। প্রাথমিকভাবে শুকনা মরিচ আকারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু চাষাবাদের জমি বৃদ্ধ পাওয়ায় ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com