দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৩১ জুলাই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন চলছে। এদিন লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিটে সূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়েছে। পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে।
একইভাবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচকেও ব্যাপক উত্থানে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টা ৪৩ মিনিটে ডিএসই প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৬.২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৬.৭৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২২.০৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৩০.২৪ পয়েন্টে।
এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪৫টির, দর কমেছে ১৪টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। এ সময় টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
অপরদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১৭.১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৫৯.৮৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১৯৫.১১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৭৯২.৬৭ পয়েন্টে।
এ সময় লেনদেন হওয়া ১১৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, দর কমেছে ২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। এ সময়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ফ্লোর প্রাইস (দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা) বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রোববার (৩১ জুলাই) থেকে তা কার্যকর হবে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। রোববার থেকে এর ওপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে ওঠানামা করতে পারবে। তবে, ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে।
এদিকে, নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ