বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মগবাজার-মৌচাক অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফ্লাইওভারের এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ অংশটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এর আগে গত ৩০ মার্চ এ ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভারের ওই অংশটি উদ্বোধন করেন।
ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হচ্ছে- একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে রয়েছে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত ও শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত।
ইস্কাটন-মৌচাক অংশের উদ্বোধনের পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অলরেডি এই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে দিয়েছেন। আমরা এর সাইডগুলো উদ্বোধন করছি। আমি যে অংশটার উদ্বোধন করলাম সেটার দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার।’
অন্য অংশটি আগামী বছর জুন-জুলাইয়ের মধ্যে উদ্বোধনের আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়ে গেলে তা যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখাবে।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার সচিব মো. আব্দুল মালেক, প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পটি ২০১১ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসে এ ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা।
প্রথমে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ ফ্লাইওভার প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পরে মেয়াদ দু’দফা সময় বাড়ানো হয়। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক
ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) এ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। সংস্থা দুটির ৫৭২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ৭৭৬ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ২০০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে এ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭০ কিলোমিটার। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পের কাজ করছে ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোরমেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়কে তীব্র যানজট ও রাস্তা জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীদের।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস