বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : ক্লাবের হয়ে এমন কিছু নেই তিনি জেতেননি। ব্যক্তিগত অর্জনের খাতাটাও রঙিন। কিন্তু পর্তুগালের জন্য এখনো কিছু করতে পারেননি। রোনালদো রোববার ফ্রান্সের বিপক্ষে সেই দায় মেটাতে চান। তার আগে উয়েফার সঙ্গে আলাপকালে মানসিক একটা খেলা খেলে গেলেন। ফ্রান্সকে ফেভারিট বলছেন। কিন্তু ভয়টাও ধরিয়ে দিয়ে গেলেন, ‘২০০৪ সালে স্বাগতিক হয়েও আমরা শিরোপা জিততে পারিনি। মনে রাখতে হবে স্বাগতিক হলেই সবসময় জেতা যায় না।’
রোনালদো ২০০৪ সালে পর্তুগালের হয়ে ইউরো ফাইনাল হেরেছিলেন। গ্রিসের বিপক্ষে, ০-১ গোলে। তারপর পর্তুগালের আকাশে অনেক ঝড় এসেছে, আবার চলেও গেছে। রোনালদোর জীবনও তার ব্যতিক্রম নয়। সময়ের পরিবর্তনে এই রোনালদো এখন অনেক পরিপক্ব। সেই পরিপক্ক রোনালদোই পর্তুগীজদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, ‘এই স্বপ্নই আমি দেখছি। জাতীয় দলকে এবার কিছু দিতে চাই।’
‘আমি বিশ্বাস করি এটা সম্ভব। আমার সতীর্থ এবং গোটা দেশ বিশ্বাস করে আমরা ফাইনাল জিতবো। আমাদের অবশ্যই ইতিবাচক চিন্তা মাথায় আনতে হবে। কারণ রবিবারই প্রথম বারের মতো আমরা কোনো বড় শিরোপা জিতবো।’
পর্তুগাল এবার শুরু থেকে ফেভারিটের তালিকায় ছিল না। গ্রুপ পর্বে কোনো মতে খেলে কোয়ার্টারে পা রাখে। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচই ছিল ড্র। আরেকটিতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের গোলে পার পেয়ে যায় তারা। আর কোয়ার্টারে তো পোল্যান্ড আটকেই দিয়েছিল। সেখানে পেনাল্টি ভাগ্যে বৈতরণী পার।
শুধুমাত্র সেমিতে এসে একটু অন্যরকম পর্তুগালের দেখা মেলে। রোনালদোর যাদুকরী আবির্ভাবে ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারায় তারা। সিআরসেভেন নিজে গোল করেন আবার ন্যানিকে দিয়ে আরেকটি করান। রোনালদো আত্মবিশ্বাস খুঁজছেন ওই সেমি থেকেই, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব ইতিবাচক ছিল। দল দারুণ খেলেছিল। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা একটি দলকে (ওয়েলস) দুই গোল দিয়েছি আমরা। ওরা খুব ভালো একটা দল। কোচও দারুণ। কিন্তু আমরা অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে গোল আদায় করে নিয়েছি। যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনাল খেলছি।’
শুরুতে যে পর্তুগালকে দেখা গিয়েছে, সেই পর্তুগালের কথাও বললেন রোনালদো, ‘আমরা ধীরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম। প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে যেমন ফলাফল চেয়েছি তা পাইনি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা নিজেদের ভেতর সমন্বয় করতে পেরেছি। ফাইনালেও সেটা বজায় থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস