পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার কথা জানিয়েছিলেন। আজ শনিবার ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।
সবাইকে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমি প্রায় দুই বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। এই অবসরকালীন সময়ে আমি নিরিবিলি জীবন কাটাচ্ছি।’
সাবেক এই পুলিশপ্রধান বলেন, সম্প্রতি পত্রিকায় আমাকে ও আমার পরিবার নিয়ে আপত্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে সেটা একটি গোষ্ঠী করেছে। কিন্তু দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশিত করেনি। এজন্য গণমাধ্যম বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ:
বেনজীর আহমেদ দাবি করেন, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল নয়, তালগাছের ঝাঁড়সম বানিয়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
২৪ মিনিটের ভিডিও বার্তায় সাবেক পুলিশপ্রধান বলেন, সাম্প্রতিক কিছু পত্রিকায় আমারও আমার পরবারের বিরুদ্ধে খুবই আপত্তিজনক ও মানহানিকর অসত্য ও বিকৃত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। সেই সংবাদের সূত্রধরে কিছু পত্রিকা একই ধরণের সংবাদ হুবহু প্রচার করেছে।
তবে মূলধারার প্রিন্ট মিডিয়া এই অসত্য সংবাদ প্রকাশে আগ্রহ দেখায়নি। আমার অবসরের দুই বছরের পরে এই ধরনের মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের কারণ কি সেই আলোচনা আমি করব না। আপনারা জানেন গত ১৪ বছরে প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে রাজধানীবাসীকে সেবা দিয়েছি।
পরবর্তীতে এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের আইজিপি হিসেবে দেশের মানুষের সেবা দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে ১৪ বছরসহ ৩৫ বছর সরকারি চাকরি করেছি। এই সময়ে শান্তিরক্ষী মিশনসহ বিদেশেও কাজ করেছি।
যেহেতু ৩৫ বছর রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছি। তাই ব্যক্তিগত দায় হিসেবে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে সত্য তথ্য তুলে ধরার নৈতিক তাগিদ অনুভব করছি। পাল্টা আক্রমণ নই, কথার প্রেক্ষিতে কথা নই; বরং আমি ও আমার পরিবারের পক্ষে থেকে প্রকৃত সত্যটি তুলে ধরতে চাই।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রকাশিত দুই পর্বের সংবাদের তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছি। এতে সব মিলিয়ে ৪৫ টি অভিযোগ ও অপমানজনক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৪টি অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত। দুইটি বিষয়কে সাতবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। দুইটি তথ্য ভুল প্রেক্ষাপটে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাকি দশটি তথ্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল নয়, তালগাছের ঝাঁড়সম বানিয়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ