বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার বিষয়ে ফেলানীর বাবা ও মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের(মাসুম) করা রিট মামলার শুনানি ফের তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে তিন তিন বার শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সরকার পক্ষের সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন এবার তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলা উপলক্ষে মাসুমের সহ সভাপতি কিরীটি রায় দিল্লিতে হাজির ছিলেন। তিনি মুঠোফোনে মানবজমিন’কে জানিয়েছেন, এবারও শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।
তবে এবার সরকার পক্ষ সময় চাওয়াতেই আদালত শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর আগে ২৫শে অক্টোবরও শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয় নি। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সাথে সীমান্ত পার হতে গিয়ে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী।
দেশ ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে একে একে দুবার বিএসএফ তার নিজস্ব আদালতে বিচারের মুখোমুখি করে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। কিন্তু দু’বারই অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে জানানো হয়।
এদিকে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে মাসুমের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন রায় দিয়ে জানান যে, নিরস্ত্র ফেলানীকে গুলি করে হত্যার কোন যুক্তি ছিল না। কমিশন ফেলানীর পরিবারকে ৫ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই নির্দেশ মানেনি।
এরপরেই ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু এবং মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ফেলানী হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন । সেইসঙ্গে তারা সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে হত্যার তদন্ত করার আবেদন জানান। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবেদনটি গ্রহণ করে ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিএসএফ এবং সিবিআইকে নোটিশ জারি করে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করায় আবেদনকারীরা সুবিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করলেও গত দেড় বছরেও মামলার শুনানি না হওয়ায় সকলে খুব হতাশ।