বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পাইকারি বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ানোর জন্য দেশের বিতরণ কোম্পানিগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব রেখেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রস্তাব, পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ ভাগ বাড়ানো হোক। আর বিদ্যুৎ সঞ্চালন খরচ ২৭ পয়সা থেকে ৫০.৭৭ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় ৪২ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অডিটরিয়ামে গণশুনানি হয়। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)।
পিডিবির প্রস্তাবের বিপরীতে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে। পিজিসিবির প্রস্তাবে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ৬.৯২ শতাংশ দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম এবং কমিশনের অপর চার সদস্য এই গণশুনানি পরিচালনা করেন। শুনানিতে অংশ নেয় বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ কী?
শুনানিতে পিডিবির জিএম (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) কাউসার আমীর আলী বলেন, পাইকারিতে বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৫ টাকা ৮৩ পয়সা। এখন বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ৪ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে গত অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৬২৩ মিলিয়ন টাকা লোকসান গুণতে হয়।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে শুনানিতে বলা হয়, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৪১ শতাংশ বেড়েছে। আবার আমদানি কয়লার ওপর ভ্যাট আরোপ করায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের দামও বাড়বে।
তবে বিদ্যুতের বর্তমান মূল্য বজায় থাকলে ঘাটতি হবে ৮৫ হাজার ৬০৬ মিলিয়ন টাকা। এ ঘাটতি পূরণ করতে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য এক টাকা ১১ পয়সা বাড়ানো দরকার।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে, যা চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর