বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ব্রেক্সিটের পক্ষে নেতৃত্বদানকারী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামনে চলে এসেছেন ক্যামেরন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। ক্যামেরনের মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য তাকেই ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন।
এর ফলে আবারো নারী প্রধানমন্ত্রী যুগে ফিরতে যাচ্ছে ব্রিটেন। টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় আরো এক নারী যোগ হবেন।
বিগত কয়েক দশকে নারীরা বিশ্বের ক্ষমতাধর কিছু দেশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিয়োগ লাভ করে আলোড়ন তুলেছেন। এদের মধ্যে এঙ্গেলা মেরকেল, হিলারি ক্লিনটন, ক্রিস্টিনা লাগার্ড, জ্যানেট ইলেন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
এমনকি এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন লাভ করেছেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের প্রধানও হবেন একজন নারী।
এদিকে, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন টেরেসা মেই হতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। বাজিকরদের বাজির দরও টেরেসা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
টেরেসা মে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির উচ্চ পর্যায়ের নেতা এবং ২০১০ সাল থেকে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আস্থাভাজন বলে পরিচিত।
থেরেসা মে ছিলেন বৃটেনকে ইউরোপের সঙ্গে রাখার পক্ষে। কিন্তু এখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউরোপ থেকে বৃটেনকে বের করে আনবেন এবং অভিবাসীদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রিত করবেন।
ফলে প্রায় ২৬ বছর পরে আবারো নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটেনবাসী। ব্রিটেনের সর্বশেষ নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ‘লৌহমানবী’ খ্যাত মার্গারেট থ্যাচার।
থ্যাচার ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি সময়ব্যাপী দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়েই ঐতিহাসিক ‘ফকল্যান্ড’ যুদ্ধে ব্রিটিশরা আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে ফকল্যান্ড দ্বীপটি দখল করে নেয়।
প্রায় আড়াই দশক পর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে বসবাস করার সুযোগ পাচ্ছেন আরো একজন ব্রিটিশ নারী। প্রথম ব্রিটিশ নারী প্রধানমন্ত্রী থ্যাচারের মতো টেরেসাও সফল হতে পারেন কি না তাই এখন দেখার বিষয়।
আগামী অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ক্যামেরন ১০ বছর ধরে কনজারভেটিভ দলের নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদে রয়েছেন ২০১০ সালের মে মাস থেকে। টেরেসা পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:ডেইলি মেইল