ঢাকা-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন জনি বাবু (৩০), অনিন্দ্র চৌধুরী (২৩), শিশির (৩৫), রাসেল (৩০), আব্দুল জলিল (৩৮), সোহেল খান (২৮), মাহি (২৫), ইব্রাহিম, আলিফ (৩৫) ও উজ্জ্বল হোসেন (৩০)। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ ছিল ফেরদৌসের। এসময় সেন্ট্রাল রোডে প্রয়াত সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দীর মেয়ের বাসায় যান তিনি। তখন ১৮ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষ।
পরে ঘটনাস্থলে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমন্বয়ক টিমের সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল মীমাংসা করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ফেরদৌসসহ সিনিয়র নেতারা একটা বাসার ওপরে উঠলে নিচে থাকা কর্মীরা মারামারিতে লিপ্ত হন। ওখানে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও ছিলেন। এছাড়া উৎসাহী সাধারণ মানুষও ছিল। পরে কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল মীমাংসা করে দেন। আমি নিজেও ওখানে ছিলাম।
ঢাকা মহানগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন রাজা বলেন, দুপুরের দিকে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের নির্বাচনী প্রচারণার সময় হঠাৎ সেন্ট্রাল রোডে ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমাম হোসেন মঞ্জিলসহ তার সহযোগীরা লাঠিসোটা ও দেশীও অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অন্য একটি গ্রুপ এসে হামলা করেছে। তারা নির্বাচন চায় না।
এ বিষয়ে জানতে ফেরদৌস আহমেদকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ