বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৪২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ না দেয়ায় ওই পদের বিপরীতে বরাদ্দকৃত প্রায় ২কোটি টাকার ভাতা ও বোনাস ফেরত গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাগেছে, ২০১৭ সালের ১২ জুন নিয়োগ-বাছাই কমিটির সভাপতি ও বাউফলের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ৪২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ জন দফতরী কাম প্রহরী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪ শতাধিক চাকুরি প্রত্যাশী আবেদন করেন।
নিয়মানুযায়ী প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে একজন প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কিন্তু বাছাই কমিটিতে তিনি তার প্রতিনিধি না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। এরপর দীর্ঘদিনেও উপজেলা চেয়ারম্যান তার প্রতিনিধি না দেয়ায় এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগের জন্য ৪২জন প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান তার পছন্দ অনুযায়ী ২১জনকে নিয়োগ দিতে চেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে নিয়োগ-বাছাই কমিটির সদস্যদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এক নিয়োগ প্রত্যাশী বলেন, নিয়োগ না দেয়ায় ভাতা বাবদ বরাদ্দকৃত প্রতিমাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা করে ফেরত যাচ্ছে।
এ ব্যপার বাউফলের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, ৪২টি পদে নিয়োগ না দেয়ায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে এদের ভাতা বাবদ ২কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে।
বাউফলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে চাঁদপুর জেলার এডিসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান তার প্রতিনিধি না দেয়ায় দফতরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়া যায়নি। বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের কারনে উপজেলা চেয়ারম্যান তার উপর ক্ষুব্দ হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পীষুষ চন্দ্র দে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। তবে অচিরেই দফতরী কাম প্রহরী নিয়োগের বিষয় নিয়ে সভা আহবান করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস