বিগত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি সমতলে হ্রাস অব্যাহত আছে। এতে বর্তমানে ফেনী ও কুমিল্লায় নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে ক্রমশ পানি বাড়ছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর অবস্থাজনিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ফেনীর কিছু অংশের পানি নোয়াখালী দিয়ে লক্ষ্মীপুরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওই অঞ্চলে বন্যা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলে আমাদের ষ্টেশন নেই, সেখানে পানি কি পরিমাণ বেড়েছে? সেখানে পানি কি পরিমাণ যাচ্ছে, বিপৎসীমার কত মিটার উপরে সেটা বলতে পারছিনা।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় এ অঞ্চলের কুমিল্লা জেলার গোমতী ও ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে যার ফলে এই অঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ