বাংলা৭১নিউজ,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র কর্তৃক নিরীহ অটোচালককে পুলিশের সোর্স ভেবে মারপিট ও জোরপূর্বক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলার গজেরকুটি প্রামানিকটারী গ্রামে গত ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল ৩০ অক্টোবর সোমবার অটোচালক আশরাফুল হক নিজে বাদী হয়ে ২ মাদক ব্যবসায়ী ও তার ২ সহযোগীসহ মোট ৪ জনকে আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত শাহজাহান আলী ছেলে অটোচালক আশরাফুল হক (৩৫) গত ৯ অক্টোবর সকালে অটোবাইকে যাত্রী নিয়ে বালারহাট থেকে ফুলবাড়ীর উদ্যেশে রওয়ানা হয়। পথে একই গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী খায়রুজ্জামান (৩০) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২৫) ব্যাগ নিয়ে যাত্রী বেশে অটোবাইকে উঠে।
অটোবাইকটি ফুলবাড়ীর কাছকাছি আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে খায়রুজ্জামান ও সুজন মিয়াকে গাঁজাসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যাহার মামলা নং- ১৫। পরর্বতীতে মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে গত ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে অটোচালক আশরাফুলকে পুলিশের সোর্স সন্দেহে বালারহাট বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আটক করে বেদম মরপিট করে।
এক পর্যায়ে তারা আশরাফুলকে খায়রুজ্জামানের বাড়ীতে আটকে রেখে জোরপূর্বক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। খবর পেয়ে আশরাফুলের বড় ভাই বাদশা মিয়া লোকজন সহ সেখানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে গালীগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। উপায় না দেখে ভাইকে উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশের আশ্রয় নেয় বাদশা।
পরে গভীর রাতে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে অটোচালক আশরাফুলকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় মাদকব্যবসায়ীরা তোড়জোড় শুরু করলে মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে আশরাফুলের বড় ভাই বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সুজনের ছোট ভাই সবুজ মিয়া(২৩) ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হামিদুল হক (৩০) ।
ফুলবাড়ী থানার এস আই মহুবর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস